নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রায় দেড় দশক ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানোর পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রাখার অপেক্ষায় ফজলে মাহমুদ রাব্বি। দলে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারের সুযোগ পাওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। সাকিব আল হাসান আর তামিম উকবালের ইনজুরিই মূলত তার কপাল খুলে দিয়েছে। সাকিবের মত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাঁহাতি স্পিনও কাজে লাগাতে রাব্বিকে দলে নিয়েছেন নির্বাচকরা।
তবে অবাক করা বিষয় হলো, ক্রিকেটীয় জীবনের শুরুতে কিন্তু রাব্বি ব্যাটসম্যান কিংবা স্পিনার ছিলেন না! ক্রিকেট আঙিনায় পোক্তভাবে তার শুরুটা হয়েছিল পেস বোলিং দিয়ে! এমনটি জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
স¤প্রতি দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকের সাথে আলাপকালে ফজলে রাব্বি জানান, বরিশাল বিভাগের হয়ে নেটে পেসার হিসেবে বল করেতে গিয়েই শুরু হয় তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, নেট বোলার দরকার হয়, আমি তখন বরিশালের হয়ে নেটে বোলিং করতে গিয়েছিলাম। সম্ভবত ২০০৩ সালে। নেটে ভালো বোলিং করার সুবাদে পরের বছর বরিশাল বিভাগের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। সেই হিসেবে বললে নেট বোলার হিসেবে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয়।’
এখন বাঁহাতি স্পিনার হলেও তখন বাম হাতেই গতির ঝড় তুলতেন রাব্বি। এরপর ক্লান্তির কারণে একসময় ছেড়ে দেন পেস বোলিং। এমনটিই জানান ৩০ বছর বয়সী, ‘আমি ছিলাম বাঁহাতি পেস বোলার। নেটে বোলিং করার পর ওরা বলাবলি করছিল ভালো বোলিং হচ্ছে। যে কারণে তারা আমাকে দিয়ে লম্বা সময় ধরে বোলিং করিয়েছিল। কিন্তু আমি খুব ক্লানমশ হয়ে পড়েছিলাম। পরে বললাম যে, আর কখনো পেস বোলিং করব না।’
সেবার ছেড়ে দেওয়ার পর আর পেস বল করা হয়নি তার। ফজলে রাব্বি জানান, ‘সেই যে ছেড়ে দিয়েছি আর কখনো পেস বোলিং করিনি। নেটে ভালো বোলিং করার সুবাদে পরের বছর বরিশাল বিভাগের হয়ে খেলার সুযোগ পাই।’ তবে এবার জাতীয় দলে সুযোগ পেতে বড় ভূমিকা রাখে তার দুর্দান্ত ব্যাটিং। কোন পজিশনে ব্যাট করতে চান ফজলে রাব্বি? তার জবাব, ‘ওপেনিং থেকে ছয় নম্বর পজিশন পর্যন্ত ব্যাট করতে অভ্যন্ত। দলের প্রয়োজনে যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করতে প্রস্তত।’ সেই হিসেবে সব্যসাচী ব্যাটসম্যানও বলা চলে রাব্বিকে।
নিজের ক্রিকেটীয় জীবনে এবং বর্তমানে নির্বাচক হয়ে ফজলে রাব্বিকে অনেক দেখেছেন হাবিবুল বাসার। গত কিছুদিনে তার উন্নতিটাও তাই খুব ভালো করে চোখে পড়েছে এই নির্বাচকের। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের আয়ারল্যান্ড সফরে হাবিবুলও ছিলেন, ফজলে রাব্বির পারফরম্যান্স দেখেছেন কাছ থেকে, ‘এখন অনেক পরিণত মনে হয়েছে বলেই নেওয়া হয়েছে ফজলে রাব্বিকে।’
হাবিবুল বলেন, ‘আমি ওকে অনেক আগে থেকেই দেখছি। আগে খুব রোমাঞ্চপ্রিয় ও আগ্রাসী ছিল। কিন্তু গত তিন বছরে ওর খেলা বেশ বদলে গেছে। এখন অনেক পরিণত। শেষ দুটি ‘এ’ দলের সফরে বেশ ভালো ব্যাট করেছে। বিশেষ করে সবশেষ সিরিজে (আয়ারল্যান্ডে) দেখেছি, সে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাট করে। প্রান্ত বদল করে খেলে। প্রয়োজনের সময় বড় শটও খেলে। সে এখন অনেক পরিণত ব্যাটসম্যান। পাশাপাশি ভালো ফিল্ডার, সঙ্গে স্পিন বল করতে পারে। সব মিলিয়ে আমাদের জন্য একটা প্যাকেজ বলা চলে। ওর খেলা আগেও তো দেখেছি। এখন অনেক বেশি পরিণত। এটাই ওকে নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি প্রভাব ফেলেছে।’ তাকে দিয়ে যে সাবিকের অভাব পুরণের চেষ্টা চলছে সেটাও জানান বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক, ‘সাকিব নেই। আমাদের এমন একজন প্রয়োজন ছিল যে সাকিবের মতো না হলেও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি একটু বোলিং করবে। রাব্বির ব্যাটিংয়ের কথা তো বললাম, ওর বোলিংও স¤প্রতি বেশ কার্যকর হয়েছে, আমরা যতটা দেখেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।