নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ৩১০’র চ্যালেঞ্জ নিয়ে হোমে চেজিংয়ের রেকর্ডটা যেখানে অসম্ভব মনে হয়নি, ইমরুল কায়েস-সাকিব জুটির ১১৮ রানে ড্রেসিং রুমেও জয়ের আবহ। শেষ ৫১ বলে টার্গেট ৩৯! হাতে ৬টি উইকেট! এমন এক পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ হারে কিভাবে? এ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই মাশরাফিরও। জয়ের এতো কাছে যেয়ে হারটাই তাই মেনে নিতে পারছেন না মাশরাফিÑ‘এই ম্যাচটা অবশ্য জেতা উচিত ছিলো আমাদের। ৫১ বলে ৩৯ লাগবে, ৬ উইকেট হাতে। ওখান থেকে ম্যাচ হারা অবশ্যই হতাশার। পুরো দলই এখন আপসেট। একটা পর্যায়ে যখন ৭-৮ করে লাগতো তখন আমরা এভাবে ব্যাটিং করতে পারতাম। কিন্তু যখণ আমাদের ওভারে ৫ করে লাগবে, তখন আরো ধৈয্যশীল ব্যাটিং করা লাগতো।’
সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে ম্যাচ হারের পেছনে ব্যাটসম্যানদের আতঙ্কেই প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখছেন মাশরাফিÑ‘আউটগুলো দেখলেই বোঝা যাবে, ব্যাটসম্যানরা কতটা প্যানিক ছিলো। ওই সময়ে ১০-১২বল ডটও হলে খুব একটা সমস্যা ছিলো না। রান করার তাড়াতেই আমরা আউট হয়েছি। আস্কিং রেট যখন ওভারপ্রতি ৪-৫ হয়, তখন বিগ শটের প্রয়োজন পড়ে না। আস্কিং রেট ৮ এর বেশি থাকলে তখন হয়তো বিগ শট খেলতে হয়। আজ (গতকাল) ওটা দরকার ছিলো না। একটা পর্যায়ে ওদেরকে ফিল্ডিং ক্লোজ করে রাখতে হয়েছিলো। কারন সিঙ্গেল আটকানোর দরকার ছিলো তাদের। ওই মূহুর্তে আমরা অনেক বাজে শট খেলে আউট হয়েছি।’
তিন তিনটি ক্যাচ ড্রপকেও আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন মাশরাফিÑ‘আজ (গতকাল) আমাদের ফিল্ডিং ভালো হয়নি। যদি ক্যাচ তিনটা নিতে পারতাম তাহলে ওরা বড়জোর ২৮০-২৯০ করতে পারতো। তখন আমাদের মানসিক অবস্থা অন্যরকম হতে পারতো। কারন, তিনশ’ চেজ করার অভিজ্ঞতা তেমন নেই আমাদের।’
¯øগে ইমরুলকে সাপোর্ট দেয়ার বার্তাটাই নাকি ড্রেসিং রুম থেকে দেয়া হয়েছিল। সে বার্তা আমল না দেয়ায় বড় ক্ষতি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কÑ‘শেষ পর্যন্ত ইমরুলের উইকেটে থাকতে হবে। আমি যখন যাই তখনো ইমরুলের সঙ্গে কথা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হবে তাকে, তা বলেছি। তারপরও ইমরুলে আজ (গতকাল) যেভাবে ব্যাটিং করেছে, ওই সময়ে খুব কঠিন ছিলো ব্যাটিং করা।’ ওপেনিং ইমরুলের এমন প্রত্যাবর্তনে ভবিষ্যতে বড় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা দেখছেন মাশরাফি। সুইপ খেলার প্রবনতায় বার বার আউট হয়ে দলকে ফেলছেন মুশফিকুর বিপদে। তারপরও মুশফিকুরকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর পক্ষপাতী নন মাশরাফি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।