নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ এখনও যোগ দেননি ক্যাম্পে থাকা দলের সঙ্গে। পেসারদের নিয়ে তাই ‘ঠেকার কাজটা’ চালিয়ে নিচ্ছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। আপাতত বোলারদের শক্তির জায়গা নিয়েই কাজ করছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। পাশাপাশি টেলএন্ডের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর করতে বোলারদেরও শেখানো হচ্ছে ব্যাটিংয়ের মূল বিষয়টা।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে গত দুই বছরে ৮ থেকে ১১- শেষের চার ব্যাটসম্যান থেকে খুব একটা রান পায়নি বাংলাদেশ। এই সময়ে হয়েছে মাত্র চারটি ফিফটি। দুটি করে পঞ্চাশ করেছেন দুই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ চার ব্যাটসম্যানের ২৭২ ইনিংসের মধ্যে ২১৩টি যায়নি দুই অঙ্কে। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে বোলারদের ব্যাটিংয়ের দিকেই তাই বাড়তি নজর সুজনের। বোলিং অনুশীলনের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং করতে হচ্ছে ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করছেন তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেনদের। টেলএন্ডার সুলভ উল্টা-পাল্টা শট খেলা নয়, রীতিমত ব্যাকরণ মেনে ব্যাটিং করতে হচ্ছে মুস্তাফিজুর রহমান, শুভাশিস রায়দের। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে ব্যাটিং নিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করছেন তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেনরা।
সেই সুযোগে নতুন এক ‘সুজন স্যারের’[ দেখাই যেন পেলেন তাসকিন। এই পেসারের মতে একেক কোচের কাজের ধরণ একেকরকম। গুরু-শিষ্যদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাপকাঠিও ব্যাক্তিভেদে আলাদা। সাবেক কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে বকাঝকা করতেন। প্রধান কোচের অবর্তমানে টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন আবার বকাঝকার পাশে আদর করেও বুঝিয়ে দেন।
পদের নাম টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হলেও সুজনের কাজের ধরণ আসলে হেড কোচেরই। গতকাল মিরপুরের একাডেমি মাঠে ছিল পেস বোলারদের ড্রিল আর ব্যাটিং অনুশীলন। সেই ফাঁকেই হাতুরুর সঙ্গে মাহমুদের কাজের ধরনের পার্থক্য জানালেন তাসকিন মত, ‘একেকজনের বলার ধরন একেকরকম। উনি (হাতুরু) হয়ত রাগ করলে বকাঝকা করতেন, সুজন স্যার একটু আলাদা..উনিও বকে কিন্তু আদর করে আবার বুঝিয়ে শুনিয়ে দেয়।’
বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই সুজনের কোচিংয়ের সঙ্গে পরিচিত তাসকিন। এই পেসারের শক্তির জায়গা জানা আছে সুজনেরও। আসছে সিরিজ সামনে রেখে নাকি জোর দিচ্ছেন সেদিকেই, ‘সুজন স্যারের সঙ্গে আমরা বোলাররা যারা আছি তারা ছোটবেলা থেকেই কাজ করছি। কারণ তিনি জানে কার কি শক্তি। আমার যেটা ন্যাচারাল ইনকাটটা ছিল, আমি হয়ত সাউথ আফ্রিকাতে আউট স্যুয়িং নিয়ে বেশি কাজ করতে গিয়ে হয়ত মূল শক্তির জায়গায় ফোকাস করা হয়নি। এখন আবার সেটা করছি। সুজন স্যার ওখানেই ফোকাস করাচ্ছেন। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে।’ ব্যাটিং অনুশীলনের পাশাপাশি দীর্ঘসময় নিয়ে তাসকিনদের স্পট বোলিং ঝালাই হয়েছে। ভিডিও করা হয়েছে অ্যাকশন, ‘আসলে স্কিল নিয়ে ড্রিল করছিলাম। সিম পজিশন ঠিক করা, যার যা শক্তি, আউটস্যুয়িং, ইনস্যুয়িং, ইনকাট। যা যা শক্তির জায়গা ওটা কিভাবে ই¤প্রুভ করা যায়। এবং একুরেসিটা কীভাবে বাড়ানো যায়।’
বছরটা ভালো যায়নি বাংলাদেশ দলের পেসারদের। প্রায় প্রতিটি সিরিজেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তাদের। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাসকিন-মুস্তাফিজদের পারফরম্যান্স হয়েছে খুবই বাজে। ব্যর্থতার দায় শুধুই পেসারদের, এটা অবশ্য মানতে রাজি নন তাসকিন, ‘যারা ক্রিকেট ভালো বোঝেন, তারা বুঝবেন যে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসলে ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব ভালো উইকেট হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে সব সময়ই বোলিং-সহায়ক উইকেট হয়, এটা ভাবা ভুল। আমরা রানও কম করেছি। শুধু বোলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। যেটা চলে গেছে তা নিয়ে আর কথা না বলি। সামনে নতুন বছর আসছে। নতুন করে শুরু হবে আশা করি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।