নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ১৯তম জাতীয় লিগের আগে একটিও দ্বিশতক ছিল না এনামুল হক বিজয়ের। এই আসরেই তার নামের পাশে বসে গেছে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। যার সর্বশেষটি গতকাল ঢাকার বিপক্ষে। তার ২০২ রানের উপর ভর করেই ইনিংস ব্যবধানের জয়ে হ্যাটট্রি শিরোপার স্বপ্ন দেখছে খুলনা।
বিজয় দুইশ করেই বিদায় নিলেও ২২ গজকে ক্যানভাস বানিয়ে আপন মনে তুলি বুলিয়ে যাচ্ছেন বার বার জাতীয় দলে উপেক্ষিত নাসির হোসেন। নির্বাচকদের চোখে আঙ্গুল দিতে দ্বিশতক পেরিয়ে এখন তিনি হাটছের ত্রিশতকের দিকে। তার সঙ্গে আরিফুল হকও করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং। প্রথম ইনিংসে ৩৩৫ রান করেও তাই স্বস্তিতে নেই বরিশাল।
ওদিকে জোড়া সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরেছেন রাজশাহীর দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মিজানুর রহমান। তাদের কল্যাণেই ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ১৩২ রানে এগিয়ে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে মেট্রোর ৩২৮ রানের জবাবে ৫ উইকেটে ৪৬০ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে রাজশাহী। বিনা উইকেটে ৯৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে তারা। শান্ত ৪৩ ও মিজানুর ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিন দু’জনই সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। উদ্বোধণী জুটিতে ৩৪১ রান যোগও করেন তারা। মাত্র ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে শান্তকে। ২১টি চারে ২৯৬ বলে ১৯৪ রান করেন তিনি। মিজানুর করেন ৩০টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১০ বলে ১৭৫ রান। সেখানে ফরহাদ হোসেনের ৬৯ বলে ৬৫ অতি তুচ্ছ মনে হতে পারে।
ব্যাটসম্যানদের মধুচন্দ্রিমার দিনে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন ইয়াসিরও। তার কল্যাণেই সিলেটকে ৪৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম। এখনো ৩৮১ রানে পিছিয়ে সিলেট। আর জিততে হলে চট্টগ্রামের প্রয়োজন সিলেটের ৮ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৭৮ রানের লিডের সঙ্গে ৭ উইকেটে ৩৮০ রান যোগ করে ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম।
তবে আলোচনায় প্রথম স্তরের ম্যাচ দুটি। ঢাকা বিপক্ষে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিলেন খুলনা বিভাগের আনামুল হক ও মেহেদি হাসান। তৃতীয় দিন ডাবল-সেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন মেহেদি। তবে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আনামুলের। চলতি লিগে দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরি তুলে ২০২ রানে থামেন আনামুল। তার ২৫১ বলের ইনিংসে ২৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো।
সাভারের বিকেএসপিতে ১৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে ১৭৭ রানেই থেমে যান মেহেদি। ১৬০ বল মোকাবেলায় ২১টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি। মেহেদি আউট হওয়ার পর ৮ উইকেটে ৪৫৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৬৯ রান তুলতে পারে ঢাকা বিভাগ। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৭৭ রানে পিছিয়ে ঢাকা।
প্রথম স্তরের অন্য ম্যাচে ডাবল-সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ট্রিপলের দিকে নাসির। ২৭০ রানে অপরাজিত আছেন নাসির। তার ইনিংসে ছিল ২৯টি চার ও ৩টি ছক্কা। তার এমন ব্যাটিং নৈপুণ্যে তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটে ৫৭০ রান করেছে রংপুর। ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ২৩৫ রানের লিড রংপুরের।
রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনই সেঞ্চুরি তুলে ১৬৭ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। ৪ উইকেটে ২৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা রংপুর তৃতীয় দিন শেষ করে ৫ উইকেটে ৫৭০ রানে। এর আগে পঞ্চম উইকেটে আরিপুলের সঙ্গে গড়েন ৩৬৮ রানের বিশাল জুটি। আরিফুল ফেরেন ২৯০ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ১৬২ রান করে।
স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ঢাকা-খুলনা
ঢাকা ১ম ইনিংস: ১১৩
খুলনা ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৭০/১) ৯১ ওভারে ৪৫৯/৮ ডিক্লে. (এনামুল ২০২, সৌম্য ৩০, মেহেদি ১৭৭, তুষার ৩, মিথুন ১, নুরুল ১০, জিয়া ১৪, মিরাজ ১৫*, রাজ্জাক ২, রুবেল ০*; শরীফ ৩/৭০, শাহাদাত ০/৮৩, শুভাগত ৩/৮১, নাজমুল ১/১৩৪, সাব্বির ১/৭৪, তাইবুর ০/১৪)।
ঢাকা ২য় ইনিংস: ৬৬ ওভারে ১৬৯/৪ (জাহিদ ২০*, রকিবুল ৫৮, শুভাগত ২৫, তাইবুর ৩৫*, মজিদ ২৭, নাদিফ ২*; মুস্তাফিজ ১/২০, মিরাজ ০/৫২, রুবেল ১/৩৫, রাজ্জাক ১/৪৩, মেহেদি ১/১৯)।
বরিশাল-রংপুর
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩৩৫
রংপুর ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ২৬৪/৪) ১৬৬ ওভারে ৫৭০/৫ (লিটন ৪৩, সায়মন ১৩, শুভ ১১, নাঈম ৫৪, নাসির ২৭০*, আরিফুল ১৬২, ধীমান ৫; রাব্বি ১০৪/১, লিঙ্কন ০/৩৭, মনির ৩/১৫১, সোহাগ ০/১২১, সালমান ১/৩৯, মোসাদ্দেক ০/৪৩, মাহমুদ ০/২০, নুরুজ্জামান ০/২১, আল আমিন জুনিয়র ০/২৪)
চট্টগ্রাম-সিলেট
চট্টগ্রাম : ২১৫ ও (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৮৯/৫) ১০৬ ওভারে ৩৮০/৭ ডিক্লে. (সাদিকুর ৫৪, জসিম ৫৬, মুমিনুল ২০, তাসামুল ২০, ইয়াসির ১০২*, সাজ্জাদুল ০, সাঈদ ৭৬, সাজ্জাদ ৯*; হাসান ১/৮৩, এবাদত ২/৮৪, এনামুল জুনিয়র ৩/১৩১, শাহানুর ১/৫৬, হাসান ০/১৬)।
সিলেট : ১৩৭ ও ৩৪.১ ওভারে ৭৮/২ (সায়েম ৪৮, শানাজ ১৮, ইমতিয়াজ ৯*, এনামুল জুনিয়র ২*; সাইফ ১/১২, রানা ০/১, সাজ্জাদ ১/২৭, শাখাওয়াত ০/৩৬, মুমিনুল ০/২)।
ঢাকা মেট্রো-রাজশাহী
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৩২৮
রাজশাহী ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ৯৫/০) ১০০.২ ওভারে ৪৬০/৫ (শান্ত ১৯৪, মিজানুর ১৭৫, জুনায়েদ ৮, ফরহাদ ৬৫, মুশফিক ৩*, সাব্বির ০, জহুরুল ১*; তাসকিন ১/৭৬, হায়দার ১/৯১, সৈকত ০/২০, আশরাফুল ০/৭০, নিহাদ ৩/১৫৩, শামসুর ০/৩০, মেহরাব জুনিয়র ০/৫, মার্শাল ০/৩)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।