নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টেস্টে দারুণ ছন্দেই ছিলেন লিটন দাস। চলতি বছর টেস্টে উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় তারই। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভুলিয়ে দিয়েছিল তার টেস্ট পারফরম্যান্স। সংস্করণ ভিন্ন হলেও নিশ্চিতভাবে মানসিকভাবেও চাপে থাকার কথা। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স মনে করেন টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ টেস্টে আনাই উচিত না। বরং দেখা উচিত লিটন কতটা নান্দনিক।
গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে চরম চাপের মধ্যে লিটন দেখেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস। শাহীন শাহ আফ্রিদিদের তোপে মাত্র ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিটন ও মুশফিকুর রহিম বদলে দেন দলের চেহারা। ৫ম উইকেটে তারা আনেন ২০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে লিটন অপরাজিত ১১৩ রানে, মুশফিক আছেন ৮২ রানে। পুরো ইনিংসে লিটন মেরেছেন ১১ চার, ১ ছক্কা। রক্ষণে আঁটসাঁট, আগ্রাসী শটে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে এসে ব্যাটিং কোচ প্রিন্স মুগ্ধতার কথা জানেলন লিটনের ব্যাটিংয়ে, ‘আমি বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা ভিন্ন একটা প্রতিযোগিতা ছিল। আমার মনে হয় যেকেউ দেখলে বলবে লিটন নান্দনিক ব্যাটসম্যান। আপনি যদি তা না দেখেন তাহলে জানি না আসলে কী দেখেন। আজ সে দেখিয়েছে সে কতটা ক্লাস ব্যাটসম্যান। গত টেস্টেও সে ৯৫ করেছে। সেঞ্চুরি না পাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল। আজ (গতকাল) সে এক ধাপ উপরে উঠেছে। ব্যক্তিগত একটা মাইলস্টোনে পৌঁছেছে। আশা করছি সে ও মুশফিক কাল জুটি লম্বা করবে।’
না চাইলেও বারবার এলো টি-টোয়েন্টির প্রসঙ্গ। সাম্প্রতিক সময়ে তাতে বাজে পারফর্ম করায় সমালোচনায় বিদ্ধ হন লিটন, দল থেকেও ছিটকে পড়েন। প্রিন্সের মতে টেস্টের বেলায় এসব প্রসঙ্গ না এনে দেখা উচিত লিটন কীভাবে তার ইনিংসটাকে গড়ে তুলেছে, ‘আমি বুঝতে পারছি না টি-টোয়েন্টি ও টেস্টে এত তুলনা কেন করা হচ্ছে। কোন তুলনা এখানে নেই। এখানে ব্যাট করার জন্য সময় পাওয়া যায়, টি-টোয়েন্টি ভিন্ন একটা মানসিকতার খেলা। আপনি যদি টেস্ট নিয়ে কথা বলেন। চলেন দেখি কীভাবে সে ইনিংস তৈরি করেছে। কতটা নিখুঁত ছিল রক্ষণে, অফ স্টাম্পের বাইরে বল ছাড়তে কতটা নিবেদিত ছিল। যখন ইতিবাচক শট খেলতে হবে সে খুবই একাগ্র ছিল।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।