বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা : রাউজানে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় গুরুতর আহত সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্র এখন মৃত্যু শয্যায় ডেল্টা হেলথ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। লাইফ সাপোর্টে থাকা ওই ছাত্রের মাথায় ও সারা শরীরে ক্রিকেট ব্যাট ও স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেছে তার দুই নিকটাত্মীয় ছাত্র। আহত ছাত্রের মাথায় প্রচন্ড আঘাত লেগেছে। তারা সেদিন একসাথে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। ছেলের মৃত্যু শয্যার খবর শুনে সুদূর আবুধাবী থেকে ছুটে এসেছেন আহত ছাত্রের পিতা।
জানাগেছে, একই বাড়ীর নিকটাত্মীয় কিশোরদের মধ্যে গত ১৭ দিন আগে ঘটনাটি ঘটলেও তা এতদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। চাপের মুখে আহত ছাত্রের পরিবারও ঘটনাটি প্রশাসন কিংবা সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেনি। গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের গশ্চি মোহাম্মদ জামান তালুকদার বাড়ীতে। আহত ছাত্রের নাম ইয়াসিন আশরাফ জুলু। সে গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। ওই এলাকার নানা বাড়ীতে থেকে পড়া লেখা করছিল জুলু। আহত জুলু উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নের উনসত্তর পাড়া গ্রামের আবুধাবী প্রবাসী মোহররম আলীর পুত্র। তার বাবা মোহররম আলী গত বুধবার বিকেলে জানিয়েছেন তার ছেলে জুলুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় অপারেশন হয়েছে। এখন লাইফ সাপোর্ট দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ছেলের এমন করুণ অবস্থার খবর শুনে তিনি আবুধাবী থেকে দেশে আসেন গত ১৭ এপ্রিল। এখন ছেলের শয্যা পাশেই দিন কাটাচ্ছেন। গশ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হানিফ বলেন, বুধবার জুলুকে দেখতে আমরা শিক্ষকরা হাসপাতালে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি খুবই অমানবিক। শুনেছি জুলুর নিকটাত্মীয় দুই ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই জুলুকে আটকে ধরে আরেক ভাই স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় ও সারা শরীরে আঘাত করেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সার্বক্ষণিক আহত ছেলেটার পাশে আছি। উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থ করেছি। ছোট কিশোররা ক্রিকেট খেলা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির মধ্যে এমনটা হয়েছে। যা দুঃখজনক। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ভুপেশ বড়–য়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মারামারির ঘটনাটা মামাতো ফুফাতো ভাইয়ের মধ্যে হয়েছে। আহত ছাত্র ও আঘাতকারীরা নিকটাত্মীয়। তবে আহত ছেলেটার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।