Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পদাবলি

| প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০২ এএম

তোষক তৈরির মানুষটি

আফজল আলি
সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে একটা খাসির মাংসের সপ দেখলাম
এই শহরে বেঁচে থাকার মতো যে আশ্রয়টি সেটা হল আমার ঘর
পুরনো কিছু কাজুবাদাম আমার হাতে
আমি কিছুতেই অস্বীকার করতে পারছিলাম না সমুদ্রের ঢেউ মন কতটা উদাসীন করে দিতে পারে মাথার ভিতর ঘুরপাক খেতে থাকে অনেক দিনের স্বপ্ন
কয়েকটি কালো রং-কে সাদা দেখার মতো চোখ হৃৎপিন্ডে কে এসে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে
জানি তেমন কিছু অনুমান পকেটে ভরে দিব্যি বেরিয়ে যাব
তখন পিছন থেকে ডাকলেও
ফুলের বাগানটি দেখতে পাবে না
অনেক দূরে সেই তোষক তৈরির মানুষটি
মিউট করে রেখেছিল গভীর রাতের কণ্ঠস্বর যা এখনও বনহরিণ

 

মেখে নেবো ধুলো ও দুপুর
আসিফ আলতাফ
আর একটা পাহাড়ই তো বাকি
পার হলে তার পর তুমি
তোমর গ্রাম;
পা রাখতেই শরীরের মেখে নেবো ধুলো ও দুপুর।
ত্রিভুজের বাহু ভেঙে
হাওয়া থেকে আলাদা করে নেব হাওয়াই মিঠই
শহরের শরীর থেকে বের হয়ে যাবো
আমি এক তৃষ্ণার্ত ছাতিমের
ছায়া.......

 

বর্ণান্ধ জীবন
উৎপলেন্দু পাল
আমার দুইখান চোখ জুইড়া
এক আজব রকমের বর্ণান্ধতা
শেফালীর বৃদ্ধা মায়ের চোক্ষের মতো
রঙিন চশমায় মুইড়া রাখি
সমগ্র দৃষ্টিশক্তিকে অবিরল
তবুও বর্ণহীন শরতের উৎসব মুখর রাইত
প্রতিপল রঙ ঢালনের চেষ্টা
জীবনের প্রতি পাতায় পাতায়
মধু চিত্রকরের নিপুণ তুলির টানে টানে
প্রতি পাতায় ফুইটা ওঠে
সাদা কালো ছোপ ছোপ দাগ
বপাড়ার মালতী মাসীর কলঙ্কের মতো
অনেক রবার ঘষচি দিনরাইত
না বুইঝা বেকুবের শালার মতো
দাগ সাফ হয় নাই হাজার চেষ্টা কইরাও
তুমি চোক্ষে আঙ্গুল দিয়া দেখাইছ
তাই এখন বুঝতাছি আমার রোগ
এক আজন্ম অভিশপ্ত বংশগত বর্ণান্ধতা।

 

গতকালের ইতিকথা
তানিয়া হাসান
তুমিই হয়তো সাক্ষ্য দিবে কোনো এক গাম্ভীর্য সন্ধ্যায়।
তোমার ভাতের হাঁড়ি উপড়ে গিয়েছিলো এক মুঠো আগুনের আকাঙ্খায় আজ তোমার পকেট ভরা উত্তাপ
কত হরিণ বারবিকিউ হয় তোমার নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাস বিকিয়ে কিনেছিলে হাসি আজ ঘুমিয়ে গিয়েছে তৃপ্ত ঠোঁট
রাশি রাশি তপ্ত কাগজের ঘ্রাণে
চোখ বুকে রেখেই তুমি মধ্যে রেখা পাড়ি দিয়েছো
সাতটি বসন্ত দিয়েও কাঁধে রাখতে পারোনি একটা কুয়াশার ভোর
আত্মাহুতি দেওয়া আফসোসগুলো
ডুপ্লেক্স ঘরের পাপড়ি হয়ে তোমায় কুসুম কুসুম বৃষ্টিতে ভেজায়
সে গতকাল হয়েও গতরেই রয়ে গেছে চরম উত্তেজনার সিকুয়েন্সে
তারে তুমি পুষতে চেয়েছিলে প্রথম স্পর্শে সে টা বড় তুমি এলার্জিতেই ঝরে গিয়েছিলো
তোমার ঘরে আগুন ছিলো না বলেই
অথচ আজ তুমি আগুনের কারিগর!

 

নখ রহস্য
নটরাজ অধিকারী
কারো কারো নখ নেই! আর
তুমি দিন পনেরো হলেই নখ কাটো,
সপ্তাহান্তে কেটে ফেলে আঙুলের নখ, সবাই -
আমার তখনও নখ কাটা হয় না!
হাতের-পায়ের নখ কাটতে আমার নখ, আমাকে
নিজে থেকেই জানান দেয়
নখে-নখে বিষ মানব।
নখ কাটতে আমার অন্তত এক মাস লাগে! দানব
আত্মারা এ এক মাসে একটা সভ্যতা, সংস্কৃতিকে
যতোটা পারে ঘেঁটে কেবল আমাকেই দেখতে পায়!
আর আমি, এক মাস কেবল তোমাকেই ভেবেছি যত...



 

Show all comments
  • Sakil Sikder ২২ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৩১ এএম says : 0
    নটরাজ অধিকারীর কবিতা চাই নিয়মিত
    Total Reply(0) Reply
  • জুবায়ের সরকার ১৫ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৩৯ এএম says : 0
    নটরাজ অধিকারীর কবিতা সব সময় পড়তে চাই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদাবলি

২৮ অক্টোবর, ২০২২
১৪ অক্টোবর, ২০২২
৯ জুলাই, ২০২২
১ মে, ২০২২
২৯ এপ্রিল, ২০২২
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
২৯ নভেম্বর, ২০১৯
১২ এপ্রিল, ২০১৯
৬ জুলাই, ২০১৮
১৪ জুন, ২০১৮
৪ জুন, ২০১৮
২৬ মার্চ, ২০১৮
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন