শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ছুটকো
রজব বকশী
একমুখে কত কথা। তারও বেশি নীরবতা
দুচোখে অনেক দেখা। তুমিহীন সব ফাঁকা
দুহাত ধরতে জানে। কখনো ছোবল হানে
পায়ে পায়ে পথচলা। জীবনের ছবি আঁকা। গল্প বলা
কতকিছু শুনি জানি। কতটা বা কাজে আসে। মানি
অনেক কিছুর ঘ্রাণ পাই। আবার দুর্গন্ধে নাক ছিটকাই
চৈতন্য হিসাবি খুব।প্রেমে পড়ি। মন পুড়ে ধূপ
ধরা ছোয়ার বাইরে কে আসে যায়রে?
তবু দেখি প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বপ্ন ও বাস্তবে সংঘর্ষ। সন্ধি
শরীরবৃত্তীয় লোডশেডিং
জাকারিয়া জাহাঙ্গীর
মায়াবিনী রূপসীর চপলা রূপ-
মেট্রোপলিটনের সোডিয়াম আলোর মতোই;
ধরার অধরা-অস্পৃশ্য জহরত ভেবে-
অনন্য উচ্চতর সুখ অনুভব করলেও তা
দোষাচ্ছন্ন স্বপ্নের মতো নিছক তন্দ্রাসুখ।
ক্ষণিকালয়ের বাহাদুরি নিমিষে চুর্ণ হয়ে যায়
শরীরবৃত্তীয় লোডশেডিং-চাপে।
চন্দ্রিমা
বিচিত্র কুমার
কোটি কোটি চন্দ্রিমার রজনী কেটে গেছে শূন্যতায়
তুমি আসলেনা ফিরে চন্দ্রিমা কোন ঈদে পুষ্পবাগিচায়,
আমি এখনো নীরবে চন্দ্রপ্রভায় একাকী বসে থাকি
শুধু তোমারই প্রতীক্ষায়।
তুমি আসবে বলে,চন্দ্রিমা
নীল আকাশের বুকে রঙধনু সাজে বৃষ্টির ফোটায় ফোটায়,
মরুর বুকে ফোটে ভালোবাসার লাল গোলাপ
হৃদয় হয়ে উঠে ঢেউয়ের মতোই চঞ্চল আশায় আশায়।
অন্তর গহিনে জাগে অজানা প্রণয়ের স্নিগ্ধ স্পন্দন
নয়ন রাঙে জ্যোৎস্নামানবীর অপরূপ শোভায়,
হৃতপিণ্ডের প্রতিটিকোষে রক্তকণিকায় জাগে শিহরণ
উন্মাদনার অতপ্ত নেশায় অন্তর জুড়াই আজন্ম তৃষায়।
অতঃপর তুমি এলে ফিরে চন্দ্রপ্রভার পূর্ণিমায়
রজনীগন্ধার সুবাস মেখে চাওয়া পাওয়ায়,
কোনো এক স্বর্গীয় অনুভূতি মুগ্ধতা ছড়িয়ে
যুগল প্রেমের নিখুঁত ভালোবাসায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।