শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
চিরকালীন সর্বনাশ
উৎপলেন্দু পাল
ভরা আষাঢ়, দিনভর টিপটিপ টুপটাপ
রাইত হইলেই গর্জায় বর্ষায় ভাসায়
ভরা যৈবনে, নদীনালা চলকায় ছলকায়
উন্মত্ততায় ঘরবাড়ি মোচড়ায় গিল্যা খায়
হারুণের মাও, কপাল চাপড়ায় হাতড়ায়
কলার ভুরায় নিরুদ্দেশে পারি দ্যায়
হরেন গোসাঁই, ঘোলাজলে সাঁতরায় কাতরায়
ঈশ্বরেরে হারামজাদা বইলা গাইল দ্যায়
নগরীর নটী, অলীক নাগরের খোঁজ পায়
রাতের সাজ ধুইয়া যায় স্রোতে ভাইসা যায়
রসিক মিস্তুরী, প্রেমিকের মতো জাপটায় হাঁপসায়
তারপর নদীর উত্তুঙ্গ কামুক বুকে ডুইবা যায়
কামুক নদী, আলিঙ্গনে আঁকড়ায় পাছড়ায়
নিখিলের বাপের সংসার ধর্ষণে পিষে দ্যায়
লাজুক সমভূমি, বণ্যায় ভেসে যায় মিশে যায়
আজন্মলালিত স্বপ্ন ঘোলাজলে ডুইবা যায়, মায়ের কোল
খালি হয় কালি পড়া চোখে বান, শুধু খোঁজে পোলাপান গোলা ধান গোশালা
আশপাশ চারপাশ
ভাসে শুধু এর লাশ তার লাশ
নদীমাতৃক সভ্যতার চিরকালীন সর্বনাশ ।
অর্থনৈতিক স্বপ্ন
নিজাম উদ্দিন পাটোয়ারী
এক পুরুষ স্বপ্নে দেখছে, পাঁচ পুরুষ খায়, ভাব লয়, কোটিপতি হয়। ভক্তির জামিনে, যুক্তি মাফলার প্যাচাইয়া পৌষের শীতে যাত্রা দেখে। ধরা ছোঁয়ার অনেক উর্ধ্বে বসবাস। কে কারে খায় স্পষ্ট বোঝা যায়।ঘুম হয়না স্বপ্ন আইবো ক্যামনে?
বাস্তবে, ধইরা, দেইখা, ছাইন্যা, বেইচ্যা লাভ হইলো কই? অনেক বছরের ব্যাবহারে ঔষধ রোগীদের খায়।
ভক্তি জামিন নিছে। সচেতন তীর্থে গেছে, শিক্ষা খোলসে। আবাল–বৃদ্ধ–বনিতা, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত , লম্বা লাইনে দাড়াইয়া স্বপ্ন কেনে।
দাওয়া খায়, খোলা বোতলে ফু... মাইকের দখলে।
আবার বাড়ি ফেরে, মরে। স্বপ্নের খরিদদারও বাড়ে।
আওলাদেরা কোটিপতি সাইনবোর্ডে।
দর্শকের সারিও কম না, আমিও আছি।
লাভ কি আফসুসকে কষ্ট দিয়া?
যদি ফিরে আসো
নাসরীন জামান
সেদিন শূন্য হাতে তুমি এলে। আমি ভরিয়ে দিলাম উজাড় করে,তুমিও গ্রহণ করলে দ্বিধাহীন।
তোমার হাত ভরলো, পাত ভরলো,
মুখের ত্বকে চকচকে জেল্লাও এলো
আমি তখনও দাঁড়িয়ে,যদি দিতে হয় আরও কিছু।
না, তুমি আর দাঁড়ালে না। চলে গেলে সোজা উল্টো হাঁটা পথে, মিলিয়ে গেলে বিন্দু থেকে অদৃশ্যে, আমি তখনও দাঁড়িয়ে, এখনও।
যদি আবার কখনও আসো।
তখন কি দেবো তোমাকে বলো?
আমার নক্ষত্র গলে গলে পড়া
প্লাবিত মাটির তলানীতে জমে থাকা
পলিটুকুই নাহয় নিয়ে যেয়ো।
পলি মানে বুঝেছো তো?
আমার চোখের জলের ইতিহাস।
গ্লোবাল ফুয়েল
নাসরীন খান
গ্লোবাল ফুয়েল, গ্রীন হাউজের
ফেলছে প্রভাব ভীষণতর,
কি হবে ভবিষ্যত তা ভেবে
বুকের ভিতরে ধরফর।
আমরাই দায়ি পৃথিবীর মানুষ
ফসলি জমিতে নোনা জল,
গৃহহীন মানুষ কাঁদবে ক্ষুধায়
পানিতে ডুববে দক্ষিণাঞ্চল।
কলকারখানায় দূষণ চলছে
যানবাহনেও হচ্ছে ক্ষতি,
ভূগর্ভের পানি অপচয় কমানো
সবুজের সমারোহে মিলবে গতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।