শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
স্বাধীনতা
শা হী ন রে জা
পালক ছুঁয়ে নেমে আসছে কিছু রোদ
পাখিটা উড়ছে
তার ছায়ার নীচে ঘন হচ্ছে সকল নদী; সব পথ
মুছে যাচ্ছে সীমান্ত রেখা
চোখে চোখ রেখে একই ঈশ্বর-ধ্বনি মন্ত্রমুগ্ধের মতো
জপছে মানুষ বৃক্ষ এবং সকল প্রাণীকূল
পাখিটা উড়ছে
তার পাখায় লেগে থাকা পবিত্র রোদ
গ্রাস করছে পৃথিবীকে
পাখিটা উড়ছে...
তোমায় নিয়ে
কা ম রু ল আ ল ম কি র ণ
গ্রীস্ম গেলো বর্ষা গেলো
শরৎ শেষে হেমন্ত,
তোমার সাথে আমার কথা
ছিলো না হায়! এমনতো।
বলেছিলে বোশেখ মাসের
কাট ফাঁটা অই দুপুরে,
আসবে তুমি চন্দ্রিমাতে
সাজবে শাড়ি নুপুরে।
কথা ছিলো ভিজবো দুজন
শাওন মেঘের বৃষ্টিতে,
শরতের অই কাঁশফুল আভা
মাখবো দুজন দৃষ্টিতে।
পা ছোঁয়াবো হেমন্তের এই
শিশিরভেজা ঘাসেতে,
আমি একা শুধু একা
নেই তুমি আজ পাশেতে।
বলছি তোমায় উঁকিঝুকি
দিচ্ছে দেখো মিষ্টি শীত,
আসবে এবার আমার ঘরে
হয় না যেনো বিপরীত।
কোথায় তুমি? শীত পেরিয়ে
আসে যদি ঋতুরাজ,
এসো না আর দোহাই তোমার
তোমাতে আর নেইকো কাজ।
কথা ছিলো
ভিজবো দু’জন
শাওন মেঘের বৃষ্টিতে
দূরে যাই, আসি না আর
মা হ বু বা ক রি ম
দূরত্বই যদি চাও
এমন দূরত্ব দিব তার নাম হবে মৃত্যু।
দূরত্ব যদি চাও এর চেয়েও দূরত্ব দিতে পারি আমার সীমাহীন নিরবতা।
দূরত্বই যদি চাও হৃদপিন্ড থেকে উপরে নিবো
প্রেমের শিমুল গাছ আমাকেই
কতটা দূরত্ব চাও তুমি?
আমাদোর মাঝে দূরত্ব থাক ক্রাউন সিমেন্টের দেয়াল
কিম্বা তুমি আমি নিরবতা। চলবে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।