শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
চোখের পাতা ঘুমিয়ে যায় মৃত রাতের মত
রিক্তা রিচি
কেমন আছিস, বেঁচে নাকি ধুতরা ফুল গিলে খেয়ে ডুব দিয়েছি এদ্দিনে
খোঁজ নিয়েছিস?
কেমন করে পুঁইলতাটা অযতেœ আর অবহেলায় শুকিয়ে গেছে
খোঁজ নিয়েছিস?
কেমন করে বুকের মাঝে একটি নদী বিষণœতার বিকেল গোনে
খোঁজ নিয়েছিস?
কেমন করে মোরগফুলটার চোখের পাতা ঘুমিয়ে যায় মৃত রাতের মত
খোঁজ নিয়েছিস?
আমার উঠোনজুড়ে দলছাড়া এক হাঁসের আর্তনাদের বিদায়বেলায়
বাতাস মেঘ উড়িয়ে আনে,
মেহগনির শুকনো পাতা স্তরে স্তরে অপেক্ষার বিকেল সাজায়
নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে,
তুই এখন অনেক বড়, নিজের শহর, নিজের মত গুছিয়ে
তবে বেশ আছিস
সময় পেলে দেখতে আসিস বৃদ্ধ মায়ের বাঁশের বেড়ায়
সাজানো এই ঘরটাকে।
কবির কর্তব্য হবে কষিত
কাজী রকিবুল ইসলাম
চাটুকারকে চিনেছিলাম সেদিন
মস্ত বড় কবিতা লেখে পত্রিকার নামÑদিন
সে কবিতায় কৃষকের ইজ্জত করে বিলীন
চাটুকারিতা পরে, মুখ হয়েছিল মলিন।
কবি পদকের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করে
সরকার চাটুকারের মুখ বন্ধ করতে পদক দেয় ভরে!
তাহলে পদকের কেজি কত করে পড়ে?
কবি কি পদকের জন্য সাধনা করে?
এই সব চাটুকাররাই কবিসত্তাকে মলিন করে।
কবি যদি হয় লোভী, সমাজের কি হবে গতি?
কে আঁকবে সমাজের প্রকৃত ছবি?
কর্তা করেনি কর্ম ঠিক,
চাটুকাররা বানাবে প্রতীক!
কবিতা লিখি এবং পড়ি আত্মার শান্তির জন্য
পদক চাওয়া-পাওয়া নয় কবির কর্ম।
কবির কর্তব্য হবে কষিত,
দেশ, জাতি, সমাজের মেরুদ- হবে শক্তÑ
চাটুকাররা কবিতা ছাড় কবিরা ছাড় চাটুকারিতাÑ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।