শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
নিঃশব্দ আহমদ
আসন্ন কোনো মৃত্যু
গগলস থেকে ঝুলে আছে চোখ, অগ্রবর্তী পা আঁকড়ে থাকে দুপুর
ক্লান্তির নামে ছিটকে গেছে এ কোলাহল রোদ স্নানে ঝিমিয়ে থাকা দীঘি
নিঃস্বর মুখ, গ্রীবা বাড়িয়ে দ্যাখে আসন্ন মৃত্যু।
কতোটা সহিষ্ণুতার ভেতর ঠিক এভাবে অপেক্ষা করা যায় বাস্তবতার কাছে,
এই কোলাহল ছেড়ে গেছে সন্ধ্যার নামে,
শীতরাতে বিদীর্ণ কোনো কুয়াশার কাছে ফেরার ছিলো
খলখল হাসি ছড়িয়ে উল্লাস হয়ে যাওয়া বিকেলের কাছে জমে ছিলো আনন্দ
সব হাসি কেমন মিলিয়ে গেছে এই লেপ্টে থাকা বিছানায় শয্যাশায়ি চোখ।
মায়া টুকু ছেড়ে ছেড়ে কেমন বিস্মৃত হয়ে ফিরে সমস্ত মুখ
দায় বলতে ছিলো হয়তো কারো বুকে আঁচড়ে পড়া উল্লাসিত উত্তাপে
স্নেহের কাছে নির্ভার হয়ে যাওয়া সমস্ত খেদ
অথচ প্রতীক্ষার চোখে আর ভাবিয়ে তুলেনা এ সব ঘর ফেরা মুগ্ধতা
আহাজারি হয়ে গেছে এসব রাত,তন্দ্রাহারা চোখ দেখে নিস্প্রাণ ভোর ৷
সাইয়্যিদ মঞ্জু
মানুষ কি আর মরে
স্বজনদের আহাজারীতে আকাশটা ভারী
প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে, নাম তার মৃত লাশ
চলছে আয়োজন, পৃথিবী দেবে বিদায় ।
একদিন আসবে-সময়মত সবার কাছে
প্রাণ নামের আলো নিয়ে যেতে, যমদূত।
পরাণ পাখির উড়াল দেয়া, সে তো ক্ষণিকের তরে
দাফন হলে নিথর দেহ, আবার আসে সে ফিরে।
একটি বাড়ী, একটি মানুষ, একাই বসবাস
শুরু হয় কবর জীবন, মানুষ কি আর মরে?
সুব্রত দাশ আপন
মানবসত্ত¡ার অবক্ষয়
প্রহসনের সমুদ্রে ক্লান্ত সাতাঁরে
ক্যালেন্ডারে মাস পেরিয়ে বছর শেষ
তবুও প্রতিশ্রুতির পোড়া অক্ষত
অশুভ প্রেত্মারা ঘুরে বেড়ায় হাততালির বাসনায়।
মোহের নিপুন ইশারায় স্বতঃস্ফুর্ত জ্যোতি প্রকাশ পায়না
সমাজের নোংরা থাবায় দেখি রক্তের নহর
বিশ্বাসী চিত্রকল্পে ঘুন পোকার উপস্থিতি
তবুও বোবা, জন্মান্ধের ন্যায় দেখিনা
আমার ধর্ষিতা বোনের পড়ে থাকা শরীর
দেখিনা ক্ষত বিক্ষত লাশগুলো।
সুপ্ত সৃজন প্রসবনে প্রাণ সঞ্চার করেনা
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনৈতিক গৃহে,
নেই মানবসত্তার উপস্থিতি
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
শোষিতরা হচ্ছে আজীবনই শোষিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।