শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
একুশের মেলায় মন কেমন আনন্দ ময়। মন কেমন উড়োউড়ো। তার মধ্যে আবার বসন্ত। মন আরও বিরহে শিহরনে একাকার। তরুণ তরুণী ঝাঁক বেধে মেলা আসছে ঘুরছে। খাচ্ছে। গল্প করছে। বই কিনছে। কেউ হারানো বন্ধুকে বই মেলায় পেয়ে মনের বিনিময়। এমন সুযোগতো সব সময় আসেনা।বছরে একবার। মহান একুশের বই মেলায়। হারানো দিনের কত কথায় তারা মেতে ওঠে। নিজেদের ঘর সংসারের খোঁজ খবর নেয়। কেউ কেউ আবার খুব সতর্ক। এই বুঝি পরিচিত কেউ দেখে ফেলে! একটা ভয়ও কাজ করে সত্য। তার পরও পুরনো সম্পর্ক মধুময় হয়ে ওঠে।বসন্ত তাদের আরও গোপন হিয়াকে আন্দোলিত করে।মধুময় করে।
২.
গত আশি ও নব্বই দশকের বই মেলার চিত্র এমনি ছিলো।তখন লোকজনের এত ভিড় ছিলোনা।এত স্টল ও বই ছিল না।বইয়ের দামও কম ছিল। রকমারি এত খাবার ছিলনা। কিন্তু ডিজিটাল সময়ে এসে অনেক কিছু পরিবর্তন। সব কিছু এখন অনেটা মেলায় প্রযুক্তি নির্ভর। হাতে হাতে মোবাইল। ফেসবুকে চলছে বইয়ের খোঁজ খবর,কে কি কিনছে,কার বই কিনছে,সাথেকে -- আর কত কী দৃশ্যমান হচ্ছে। করোনায় মানুষ অর্থ নৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত। তারপরও মানুষ পছন্দের বইটি কিনতে ভুল করছেননা। পছন্দের মানুষ সাথে দেখা করতে ভুল করছেননা। এ মেলা সবাইকে একটি শিকলে বেঁধে যেন এখানে জড়ো করেছে।ডিজিটাল সময়ে এসেও মধ্যে বয়সী এক ভদ্রলোক গলা খুলে গেয়ে ওঠেঃ
সাতটি বছর আগে
সাতটি বছর পরে
যে মাধবী তলে দাড়ায় প্রথম বলেছিলে ভালোবাসি
আজও সে লতায় ফুল ফুটে হায় বাজেগো
তেমননি বাঁশি
জগন্ময় মিত্র গাও বাংলা বিরোহী গানের সেরা গানের কটি লাইন।
৩. ছেলে বুড়ো সব বয়সী মানুষের মিলন মেলা একুশের এই মেলা। মেয়েরা নারী দিবসে এসেছে বেগুনি শাড়ি পড়ে। এটা বাড়তি আকর্ষণ। শিশুরা এসেছে বিপুল।তাই নিশাদ নামের এক তরুণ কফি পান করতে করতে বলে ওঠে, আমার এমন কেমন করে।
৪.
একুশে বই মেলা আমাদের জীবনে এক বড় আনন্দের। বড় গৌরবের। ঘরে বসে এর স্বাদ নেয়া সম্ভব নয়। যারা ঘরবন্দী, মেলা বিমুখ,তাদের বলতে ইচ্ছা করে,রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ওরে আধমরাদের তুই ঘা মেরে বাঁচা।তবে হ্যা এটাও ঠিক অনেকে কাজের চাপে মেলায় আসতে পারেননা।তাদের কথা আলাদা। এর মানে এই নয় তারা মেলা বিমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।