বাবাই তার সন্তানকে খুন করতে ভাড়া করেছিলেন কিলার এবাদুল্লাহ ডাকাতকে। খুনের পর সাজাতে চেয়েছিলেন ডাকাতির ঘটনা। তবে সফল হয়নি সেই পরিকল্পনা। হত্যাকান্ডের ঘটনার দিন গ্রেফতার হন বাবা ও সৎ ভাই। তার স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে তিনটি বন্দুক।

মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, মহেশখালীর শাপলাপুরে পিতা কর্তৃক পুত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় কিলার এবাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ মে রাত ১টায় শাপলাপুরের পাহাড়ি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার স্বীকারোক্তি মতে পাহাড়ে আস্তানা থেকে ৩টি দেশীয় বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী সার্কেল) জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ মে উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের জামিরছড়ি এলাকায় পিতা আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ঘুমন্ত অবস্থায় ছেলে ও পরিবারের অন্য ৪ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। এদের মধ্যে আহত ছেলে জোবাইর চকরিয়া হাসপাতালে মারা যান। মা, ভাই-বোন ও ভাগ্নিসহ পরিবারের ৪ সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, শাপলাপুরের পিতার হাতে পুত্র হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। গতকাল এজাহার নামীয় আসামি এবাদুল্লাহ ডাকাতকে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাই। জানতে পারি বাবা আলতাফ হোসেনের ৩ স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের নিয়ে একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ তৈরি করেন আলতাফ। দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের সাথে আঁতাত করে প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের উপর এ হামলা চালান।