শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
জীবনের দর্পণ
কাজী রিয়াজুল ইসলাম
দূর আকাশের চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে দৃষ্টির সরণী
স্বপ্নের টিয়াদের দেখি রঙিন পাখনা মেলে উড়তে,
নদীর ঢেউয়ের তালে নাচে আকাক্সক্ষার তরণী
হতাশার পাথরগুলোকে দেখি দূরে বসে শুধু পুড়তে।
প্রবেশ করলে হৃদয়ের বুলবুলি গভীর অরণ্যের ঘরে
তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে ইচ্ছের স্বর্ণলতা,
জমিনের প্রতি তাকালে ফুঁড়ে চলে যাই স্বর্ণখণির স্তরে
বায়ুর পরশ থেকে সওদা করি নিখাদ সুকোমল হৃদ্যতা।
সাহারায় সাইমুমে শরীর ঢেকে দেয় অগ্নিনিরোধ কামিজ
অমাবশ্যায় পূর্ণিমা ঝরায় আলোর বৃষ্টি মননের মাঠ-বিলে,
অভাবের খরায়ও অঙ্কুরিত হয় সোনালি স্বপ্নের বীজ
আলেয়া পারে না ভুলাতে পথ, নিয়ে যায় সঠিক মঞ্জিলে।
যেদিকে তাকাই সেদিকেই তোমার ভালোবাসার দর্পণ,
প্রিয়তমা, যার মাঝে পাই জীবন-কায়ার স্নায়ুর স্পন্দন।
টুকরো টুকরো পৃথিবী
মুহাম্মাদ আবদুল্লাহিল বাকী
আমার সত্তাকে টুকরো টুকরো করে
কয়েক টুকরো নিয়ে গেলো কেউ,
দু’টুকরো নিয়ে আমি রইলাম বাতাসের শনশন শব্দে
মধুতে আটকে থাকা মৌমাছির মুক্তি আনন্দের সঙ্গে
কিছু ভালবাসা কিছু বিরহ যেন জিজ্ঞাসা চিহ্নের মত
জেদি এবং নাছোড়বান্দা হয়ে আমাকে আগলে রাখে
আর রুদ্ধশ্বাসের ভেতরে ভেঙে পড়তে পড়তে দৌড় দি
দূর থেকে কিছু ভীরু মানুষ দেখে গেলো এসব
ঘ্রাণ
সাঈদ অভি
ভেজা জলপাইপাতা-ত্বক রোদে রোমের মতো জ্বলছে জানালার পাশে
সরে বসুন। আপনাকে মাপতে মাপতে শ্যামলীর গাড়ি ভুলে বুধবার
চলে যাই চৌহালি ভদ্রপুর, যদিও সুগঠিত পেশি দেখে আপনার চুলে
গোলাপি ও লাল ক্লীপ কাঁপে তীব্র শরতে ভাসে ছত্রিশ-চব্বিশ-ছত্রিশ
ভেতরে যদি বা বয়ে যায় মিসিসিপি, তবুও আমি আপনাকেই ভাববো
মেহের চত্বরে বিকেলে মনে মনে আপনার সাথে যাবো রেট্রোস্পেক্টে
তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষে, যেখানে আপনি বিলেতি আঙুর রাস্না থরে থরে
সাজানো জলচৌকিতে, আর আরবীয় শরাব পেয়ালায় চুমুকে চুমুকে
কেবলি আপনার ঘ্রাণ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।