রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আশরাফ উদ্দিন (১৮) নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। খুনের ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে নিহতের বাবা বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। প্রতিবাদে ছাত্রলীগ কর্মীদের রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে। পুলিশ স্থানীয় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদসহ আসামিদের ধরতে রাতে বিভিন্ন জাগায় অভিযান চালালেও এখনো পর্যন্ত কোন আসামিকে ধরতে পারেনি।
আনোয়ারা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের আনুসারী দুই উপগ্রুপের কোন্দলের জেরে গত শুক্রবার রাত আনোয়ারা উপজেলার জয়কালী বাজারের মোড়ে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রবৃত্তি বিষয়ক সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন সরকারের নেতৃত্বে মহিউদ্দিন মানিক, মো. রাব্বি, নিসান বড়–য়া ও অনকন নন্দীসহ আরো কয়েকজন আশরাফ উদ্দিনকে হামলা চালিযে মারধর করে। মারধরের পর ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজনও আশরাফের সহপাঠিরা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত আশরাফের নোয়াখালী সুবর্ণচর থানার চরফ্যাশন গ্রামের মো. আবদুল্লাহর পুত্র। বিগত ১৫ বছর ধরে মা-বাবার সাথে আনোয়ারা সদরে ভাড়া বাসায় থাকে। তার নানার বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামে।
এদিকে আশরাফ হত্যাকান্ডের পর গতকাল শনিবার সকাল ১০ টায় ছাত্রলীগের একটি অংশ আনোয়ারা বরকল সড়কের সিংহরা রাস্তার মাথা এলাকায় ব্যাড়িকেড দিয়ে হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানায়। পরে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া করে ব্যাড়িকেড তুলে দেন। ঘটনার পর থেকে পুরো আনোয়ারায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি নয়ন সরকারকে গ্রেফতার করার জোর দাবি ওঠেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যাবসা নিয়ন্ত্রণ ও মারামারিসহ নানা অপকর্মে নয়ন সরকার ও তার ৫ সহযোগী নেতৃত্ব দিতেন বলে অভিযোগ। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টায় নিহতের মা জেসমিন আকতার আনোয়ারা থানার বারান্দায় গড়াগড়ি দিয়ে আর্তনাত করে ছেলের হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি সংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে অতি শান্তসৃষ্ট ও ভদ্র, আমার নিরপরাধ ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
আনোয়ারা থানার ওসি দিদারুল ইসলাম শিকদার জানান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের অনুসারী দুটি উপগ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।