রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কাঁঠালী এবং উত্তর চিলাদী গ্রামে প্রায় এক হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। শুধুমাত্র পানি না থাকার কারণে কৃষকরা এ জমিতে শস্য আবাদ করতে পারছেন না। কৃষি বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশাল এই জমির দিকে নজর দিচ্ছে না। ফলে ওই এলাকায় বাড়ানো যাচ্ছে না খাদ্যশস্য উৎপাদন।
দিঘলী থেকে কাঁঠালী পোলের গোড়া পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে ‘গবি উল্যা’ খাল রয়েছে। এটি ওয়াপদা খালের সংযোগ খাল। খালটি দীর্ঘ সময় ধরে খনন না করার কারণে বড়খাল থেকে পানি আসতে পারে না। আবার বর্ষা মৌসুমে খাল দিয়ে সহজে পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না। এ খালটি আমাদের এলাকার ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, দুই গ্রামের অন্তত এক হাজার একরের বেশি আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এসব জমিতে শুধুমাত্র আমন ধানের আবাদ হয়। পানির অভাবে বাকি দুই মৌসুমে কোনো ফসল আবাদ করা যাচ্ছে না।
গ্রাম দুটিতে গিয়ে দেখা যায়, কুশাখালীর পশ্চিম কাঁঠালী গ্রামের পশ্চিমে প্রায় ৫০০ একর জমি রয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু জমিতে সয়াবিন বা ডাল জাতীয় শস্য আবাদ করা হয়েছে। তবে সিংহভাগ জমি অনাবাদি অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আবাদ না হওয়ায় জমির মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায়।
কৃষক নুর মোহাম্মদ বলেন, আমাদের এলাকার বিস্তীর্ণ জমি চলতি মৌসুমে অনাবাদি পড়ে আছে। জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি, এসব জমিতে এক মৌসুমে ফসল হয়। বাকি মৌসুমে আবাদ হয় না। এক দিকে জমিগুলোতে পানি সেচ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আবার বৃষ্টি হলে পানি আটকে থাকে। শুষ্ক মৌসুমে অনেক ক্ষেত মালিক জমির উপরিভাগের মাটি ইটভাটায় বিক্রি করে দেন। গেল মৌসুমে আমি সয়াবিনের আবাদ করেছি, অসময়ের বৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার সয়াবিনের আবাদ করিনি। সামান্য কিছু জমিতে ডালের আবাদ করেছি। তবে ফলন ঘরে তোলা নিয়ে ভয় আছে। আমার মতো সব কৃষক ফসলহানির আশঙ্কায় থাকেন।
অনাবাদি জমির বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) লক্ষ্মীপুরের (সদর-রামগঞ্জ ইউনিট) উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যে এলাকার কৃষকরা সেচ প্রকল্প নিতে আগ্রহী হন, সেসব এলাকায় বিএডিসির পক্ষ থেকে খাল খনন এবং সেচ প্রকল্প নির্মাণ করে দেয়া হয়। তবে কুশাখালীর ওই অঞ্চল থেকে কোনো কৃষক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এলাকা দুটি পরিদর্শন করে আগামী বোরো মৌসুমে অগ্রধিকার ভিত্তিতে সেখানে সেচ প্রকল্প দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
জেলার একটি এলাকায় বিস্তীর্ণ আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. জাকির হোসেন বলেন, আবাদযোগ্য জমি অনাবাদি থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।