পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের প্রকাশ্যে ইসলামবিরোধী বক্তব্য এবং একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী, নিশ্চিতভাবেই ফ্রান্সতো বটেই সমগ্র ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। যখন সারাবিশ্বের মুসলমানরা এটা নিয়ে প্রতিবাদে সরব, তখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ফ্রান্সের পাশে দাঁড়ানো, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নামে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনুসারী ধর্ম ইসলামের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু ফ্রান্সের এই কর্মকাÐ যদি চলামান থাকে তাহলে এর সুদূরপ্রসারী ফলাফল কোনো পক্ষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। ধর্মীয়তো বটেই অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হবে। ইসলামকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইনের ঘোষণা দিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ইতোমধ্যেই দেশটির ৭৩টি মসজিদ ও ইসলামী সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সা.) এর অবমাননায় বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ফরাসী পণ্য বর্জনের ডাক এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকে, যা ইতোমধ্যে ফরাসী অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ইউরোপের সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করে ফ্রান্সে। ফ্রান্স সরকার নতুন আইনের মাধ্যমে যেভাবে ইসলামের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করছে। রাষ্ট্রীয় মদদে যেভাবে ঘৃণা ছড়াচ্ছে, তাতে ফ্রান্সসহ পুরো ইউরোপে উগ্রপন্থার উত্থানকে কেবল উৎসাহিতই করছে। এর ফলে ধর্মনিরপেক্ষ ইউরোপে যদি ডানপন্থীদের উত্থান ঘটে তাহলে তা কোনো পক্ষের জন্য কল্যাণজনক হবে না। তাই, ফ্রান্সের এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ড বন্ধের জন্য এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি, এক্ষেত্রে ওআইসির জরুরি বৈঠক ডেকে এটার প্রতিবাদ করা উচিত। পাশাপাশি, মুসলিম বিশ্বের নেতাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্রান্সের উপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।