Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রতিবন্ধীরা এখন আর বোঝা নয়

সেলিনা আক্তার | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

সাধারণত, যে সকল শিশু দৈহিক-মানসিক ত্রুটির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় অক্ষম, তাদের প্রতিবন্ধী বলে। কিন্তু, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১ অনুযায়ী, ‘প্রতিবন্ধী’ অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি- জন্মগতভাবে বা রোগাক্রান্ত হইয়া বা দুর্ঘটনায় আহত হইয়া বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরূপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম।’ প্রতিবন্ধী শিশুদের সাধারণত পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, শারীরিক প্রতিবন্ধী, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী, বুদ্ধি বা মানসিক প্রতিবন্ধী এবং বহু প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন কারণে একটি শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে। যেমন, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে মা যদি হাম, চিকেন পক্স, মাম্পস, যক্ষা, ম্যালেরিয়া, রুবেলা ভাইরাস ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয় তবে গর্ভস্থ শিশু শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। এছাড়া, মায়ের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা প্রভৃতি শারীরিক অবস্থায় গর্ভস্থ শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে। গর্ভবতী মা যদি দীর্ঘদিন ধরে রক্তস্বল্পতায় ভোগে, পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার না খায়, তবে ভ্রুণের গঠনগত বিকলাঙ্গতা দেখা দেয়, মস্তিষ্কের বিকাশ ব্যাহত হয়। ফলে শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অনেক ঔষধ ভ্রূণের অঙ্গ সৃষ্টিতে বাঁধার সৃষ্টি করে, ফলে শিশু যে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে। এছাড়া, গর্ভবতী মায়ের বয়স ১৮ বছরের কম বা ৩৫ বছরের বেশি হলে, গর্ভবতী ঘন ঘন খিঁচুনি রোগে আক্রান্ত হলেনিকট আত্মীয়র মধ্যে বিবাহ ইত্যাদি কারণে শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে। শিশুর জন্মের সময়কাল দীর্ঘ হলে শিশুর গলায় নাড়ি প্যাঁচানোর কারণে বা শিশু জন্মের পরপরই শ্বাস নিতে অক্ষম হলে অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শিশু বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়। শিশু জন্মের সময় মস্তিষ্কে কোনো আঘাত, যেমন পড়ে যাওয়া, মাথায় চাপ লাগা ইত্যাদি প্রতিবন্ধিতার কারণ হতে পারে। শিশু জন্মের পরবর্তীকালে নবজাতক যদি জন্ডিসে আক্রান্ত হয় এবং রক্তে যদি বিলিরুবিনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়, তবে মস্তিষ্কে কোষের ক্ষতি হয় এবং শিশু মানসিক প্রতিবন্ধী হয়। শৈশবে শিশু যদি হঠাৎ করে পড়ে যায়, মস্তিষ্কে আঘাত পায় বা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়, তবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হবার আশঙ্কা থাকে। পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থ যেমন পোকামাকড় ধ্বংস করার রাসায়নিক পদার্থ, আর্সেনিক মিশ্রিত পানি ইত্যাদি শিশু শরীরে প্রবেশ করলে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, ফলে শিশু প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

তবে প্রতিবন্ধীরা আর আগের মতো অবহেলিত ও উপেক্ষার পাত্র নয়। তারা সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে পুনর্বাসন লাভ করছে, মর্যাদা ও সম্মান পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ভাস্কর ভট্টাচার্যের কথা উল্লেখ করা যায়। ভাস্কর ভট্টাচার্য একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও যে পৃথিবীতে আলোর কান্ডারী হওয়া যায়, তা তিনি প্রমাণ করেছেন। সকল বাধা অতিক্রম করে দেশ ও বিদেশে বীরদর্পে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিবন্ধী বলে তিনি নিজেকে আবদ্ধ রাখেননি। অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি এটুআই এর ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ফর অ্যাকসেসিবিলি হিসেবে কাজ করছেন। তিনি প্রতিবন্ধী মানুষের প্রবেশগম্যতা ও প্রতিকূলতা বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে অভিগম্যতা ও অন্তর্ভুক্তি নিয়ে গত ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। নীতি নির্ধারণ, অ্যাডভোকেসি, প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়ক এবং সুলভ প্রযুক্তি উদ্ভাবন লক্ষ্যে তিনি কাজ করছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০১৮ সালে ভাস্কর ভট্টাচার্য ‘ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট অফ পার্সনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস’ শীর্ষক ইউনেস্কো পুরস্কার অর্জন করেন। দেশের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রকাশিত সকল পাঠ্যবই এবং বাংলাদেশের প্রথম অ্যাক্সেসিবল ডিকশনারি তৈরির জন্য তিনি এ পুরস্কার পান। তাছাড়া, তিনি ইতোমধ্যে দুই লক্ষেরও অধিক পৃষ্ঠার পাঠ্য উপকরণকে অভিগম্য আকারে তৈরি করেছেন এবং ৫ শতাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আইসিটি দক্ষতা এবং সহায়ক প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন। এছাড়াও, তিনি কোভিড-১৯ মহামারিতে জাতীয় হেল্পলাইন ‘৩৩৩’ এবং ‘মাইগভ’ এর সেবা সম্পর্কিত তথ্যগুলো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহজগম্য করতে সরকারের উদ্যোগের সাথে জড়িত ছিলেন।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকারের মিশন হল, আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ও সেবামানের আলোকে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টঘঈজচউ এর আলোকে বাংলাদেশের সকল ধরনের প্রতিবন্ধী মানুষের সমমর্যাদা, অধিকার, পূর্ণ অংশগ্রহণ এবং একীভূত সমাজ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতাধারায় সম্পৃক্ত করার জন্য সামাজিক সচেতনতা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সাধন। সরকার এ লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে থেরাপিউটিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের ৬৪টি জেলা ও ৩৯টি উপজেলায় মোট ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়। এ সকল কেন্দ্রসমূহ হতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক, কাউন্সেলিং ও রেফারেল সেবা এবং সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে। উক্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত নিবন্ধিত সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ১০৩ জন ও মোট প্রদত্ত সেবা সংখ্যা ৮৯,০৯,৮৯৬টি। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধীকতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের ৪০টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে বিনামূল্যে থেরাপিউটিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ৪০টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত বিনামূল্যে নিবন্ধিত থেরাপিউটিক সেবা গ্রহীতার সংখ্যা ৩,৯৬,৭৫৪ জন এবং প্রদত্ত সেবা সংখ্যা ১০,৩০,৩৯০টি।

১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের মাধ্যমে এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ৬০,৩৪২টি সহায়ক উপকরণ (কৃত্রিম অঙ্গ, হুইলচেয়ার, ট্রাইসাইকেল, ক্র্যাচ, স্ট্যান্ডিং ফ্রেম, ওয়াকিং ফ্রেম, সাদাছড়ি, এলবো ক্র্যাচ, আয়বর্ধক উপকরণ হিসেবে সেলাই মেশিনসহ) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। ঊধৎষু ঝপৎববহরহম, উবঃবপঃরড়হ, অংংবংংসবহঃ ও ঊধৎষু রহঃবৎাবহঃরড়হ নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের আওতায় পরিচালিত ১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে একটি করে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (এনডিডি) কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত ১০৩টি কেন্দ্র হতে অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশু ও ব্যক্তিদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ফাউন্ডেশনের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২৮ আসন বিশিষ্ট সেরিব্রাস পলসি(সিপি) শিশুর লালন পালন, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস চলমান আছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর- ১৪ এ ১৫ তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে, যা সুবর্ণ ভবন নামে নামকরণ করা হয়েছে। উক্ত প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স এ অটিজমসহ অন্যান্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য ডরমিটরি, অডিটোরিয়াম, ফিজিওথেরাপি সেন্টার, শেল্টারহোম, ডে-কেয়ার সেন্টার, বিশেষ স্কুল ইত্যাদির সংস্থান রাখা হয়েছে।

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী প্রদর্শন, বিপণন ও বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে সুবর্ণ ভবনের নিচতলায় একটি বিপণন ও প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করার কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অতি শীঘ্রই বিপণন ও প্রদর্শনী কেন্দ্রটি চালু করা হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে অনুদান/ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ফাউন্ডেশনের কল্যাণ তহবিল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার মাঝে প্রায় ১৬ কোটি টাকা অনুদান ও ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ কালীন পরিস্থিতিতে জুলাই-২০২১ মাসে ২৬৯টি বেসরকারি সংস্থার অনুকূলে ১ কোটি ৫২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৪৭৫ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মোট ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। অটিজমসহ অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে কর্মরত জনবলকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য পর্যায়ক্রমে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৫২৬১ জনকে অভ্যন্তরীণ ও ২১৫ জনকে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশী ও কর্মক্ষম প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে ২০ আসন বিশিষ্ট একটি পুরুষ ও ২০ আসন বিশিষ্ট একটি মহিলা হোস্টেল চালু করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৪০০ জন।

অটিজম রিসোর্স সেন্টার দ্বারা এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশু ও ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ২৬ হাজার ৩২০টি ম্যানুয়াল ও ইন্সট্রুমেন্টাল থেরাপি সেবা প্রদান করা হয়েছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা করা হচ্ছে। এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত সনাক্তকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মধ্যে ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ নারী প্রতিবন্ধী। সরকার নারী প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রেও বিশেষ লক্ষ্য রাখছে। বর্তমানে ভাতা ও উপবৃত্তিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধীর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ নারী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষার জন্য ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন- ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাও ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করতে পারছে। তাদের হাতেও এখন স্মার্টফোন, ল্যাপটপ। বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা কাজ করছে। তারা ডিজিটাল নথি ব্যবহার করে কাজ করছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টালও ব্যবহার করতে পারছে। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ দেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ সকল প্রকার পঠনপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বই পড়ার সংকট দূর করতে আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংস্থার মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের ৩ লক্ষ ৪০ হাজারের অধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ডব্লিউআইপিও এর ‘অ্যাক্সেসিবল বুক কনসোর্টিয়াম’ এর ৮ লক্ষাধিক বই পড়ার সুযোগ তৈরি হবে।

প্রতিবন্ধীরা পরিবার, সমাজ ও দেশের বোঝা নয়। এ সত্য সুস্থ ব্যক্তিদের উপলব্ধি করতে হবে। এ সত্য উপলব্ধি করলেই হবে না এর জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। পরিবারকে প্রতিবন্ধীবান্ধব করতে হবে। পরিবারকে প্রতিবন্ধীবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজ তথা দেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

লেখিকা: সহকারী তথ্য অফিসার, পিআইডি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন