বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদ উল আযাহা’র পর থেকে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা থানার চাইতে আড়াইহাজার থানায় লাশ পাওয়া গেছে বেশি। ঈদের পর থেকে ফতুল্লা লাশ পাওয়া যায় ৩টি। অপরদিকে আড়াইহাজার থানায় ঈদের পর থেকে গত ২৪ দিনে লাশ পাওয়া গেছে মোট ৫টি। এর মধ্যে ৪ জনকেই হত্যা করা হয় বলে থানার সূত্রে জানাগেছে। বাকি একজনের লাশ মেঘনা নদীতে ভাসমান পাওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে লাশটি অন্যকোন জেলা থেকে ভেসে আসতে পারে।
পুলিশি তৎপরতার কারণে ক্রাইমজোন হিসেবে খ্যাত ফতুল্লায় সম্প্রতি সময়ে অপরাধের সংখ্যা কিছুটা কমে এসেছে বলে জানাগেছে। তবুও এর মধ্যে ঈদের পর থেকে এ পর্যন্ত এ থানায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি। যার মধ্যে একদিনেই লাশ পাওয়া যায় দুইটি এবং দুটি লাশই পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। বাকি এক জনের লাশ মিলে একটি রিকশার গ্যারেজে।
পুকুরে পাওয়া লাশগুলো নিয়ে পুলিশের ধারনা, ফতুল্লার মাসদাইর ঈদগাঁ পুকুর থেকে আব্দুল্লাহ (২০) নামে যে ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে তার পেটে পানি ছিলো না। জীবিত অবস্থায় পানিতে ডুবিয়ে দিলে পেটে পানি থাকত। তাকে হত্যার পর সিএনজির দরজা বন্ধ করে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। পুকুর থেকে উদ্ধারকৃত সিএনজি (ঢাকা মেট্রো-থ-১৬-৩৪৪২) এর পেছনের সিটে আব্দুল্লাহকে রেখে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পানিতে ফেলা হয়। তার মানে এটি একটি হত্যা কান্ড।
অপর যে ব্যক্তির লাশ ফতুল্লার কায়েমপুরে বটতলা এলাকার এক পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছিলো, তার নাম কবির হোসেন (৫৫)। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা।
এদিন ফতুল্লা মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, দুপুরে খবর পেয়ে কায়েমপুর বটতলা এলাকার চার পাখি (বিঘা) নামে এক পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় কবির হোসেনের লাশ উদ্ধার করেন তারা। দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহরের জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তবে মৃত ব্যক্তির স্বজনরা জানিয়েছিলেন, কবির হোসেন হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। গরুর জন্য পুকুর পাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে সেখানে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। পরে দুইদিন পর মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। এখানে প্রশ্ন তিনি যে হার্ট অ্যাটাক করেছিলেন, সেটা তার পরিবার কি করে দেখলো এবং যদি দেখেও থাকেন, তাহলে তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন না কেন? কেন ওই ব্যক্তির লাশ পর পর দুই দিন পুকুরে ভেসে থাকতে হলো? তাহলে বুঝাগেলো, এ লাশটির পিছনে তার পরিবারেরই একটা রহস্য লুকানো আছে।
তবে ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকার নূর মোহাম্মদের রিকশা গ্যারেজ থেকে আব্দুল কাদের নামে যে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও মৃত ব্যক্তির স্বজনদের কথা শুনে মনেহয় এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। কারন, তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিলো না।
লাশ পাওয়া বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এখনও তদন্তে গ্রেফতার করার মত কিছু পাইনি। ময়নাতদন্তের রির্পোট পেলে আমরা পরবর্তি ব্যবস্থা নিতে পারবো। আমাদের কাছে একটাও অসাভাবিক প্রতিয়মান হয়নাই। আমরা পোস্টমোটেম করিয়েছি, তদন্ত অব্যাহত আছে। তবে পোস্টমোটেম রির্পোটের পর পরবর্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এদিকে ফতুল্লা ছাড়িয়ে আড়াইহাজার এখন ক্রাইমজোনে পরিনত হয়েছে। ঈদের পর থেকে এই পর্যন্ত এ থানাধীন এলাকায় লাশ পাওয়া গেছে ৫টি। গত ২২ দিনের হিসেব মতে এ তথ্য সাজানো হয়েছে।
ঈদের পর পরই এই এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যায় একজন। এরপর থেকে শুরু বিভিন্ন স্থানে লাশ পাওয়ার খবর।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, গত ২২ দিনে ৫টি লাশ পাওয়া গেলেও পুলিশের তৎপরতা ছিলো ব্যাপক। এ ৫টি লাশের বেশির ভাগ তথ্যই তারা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন। সক্ষম হয়েছেন কারন খুঁজে বের করার। যারফলে পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন মেম্বারসহ প্রায় একধীক অপরাধী। শুধু তাই নয়, আড়াইহাজার থানাধীন একটি মসজিদ মার্কেটের ছাদে থেকে যে লাশটি পাওয়া গিয়েছিলো, তার খুনিকে পুলিশ সাথে সাথে ধরতে সক্ষম হয়। তবে তাদের (পুলিশের) আরও বেশি তৎপর থাকতে হবে যাতে করে লাশ পাওয়ার ইতিহাসটা যেন চিরতরে মুছে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।