Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘সত্যি’ বলে মামলা খেলেন শোয়েব

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২০, ১২:০৭ এএম

শোয়েব আখতার রাখঢাক রেখে কথা বলেছেন কবে? যখন যা ভেবেছেন, সেটিই প্রকাশ্যে বলে ফেলেছেন। ভীষণ অকপট হওয়ার কারণেই বোধ হয় এই মুহূর্তে তিনিই পাকিস্তানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউটিউবার। নিজের ইউটিউবে চ্যানেলে দুদিন পর পর একেকটা বোমা ফাটান! তবে সম্প্রতি যে বোমাটা ফাটিয়েছেন, তাতে একটু বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে।

দুদিন আগে উমর আকমলের শাস্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শোয়েব। সাবেক গতিতারকা কাঠগড়ায় তোলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের আইন বিভাগকেই, ‘তার (আকমল) শাস্তিটা কি সমর্থনযোগ্য হয়েছে? আমাকে বলতেই হবে পিসিবির আইন বিভাগ একেবারেই অকাজের আর অযোগ্য। বিশেষ করে তাফজল রিজভি (পিসিবির আইন উপদেষ্টা), জানি না সে কোথা থেকে এসেছে। তার ভালো যোগাযোগ আছে, গত ১০-১৫ বছর ধরে পিসিবিতে আছে। এমন কোনো মামলা নেই যে সে হারে।’
শোয়েবের এই মন্তব্যে চটেছে পিসিবি। শোয়েবের বিরুদ্ধে মানহানি মামলাই টুকে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘শোয়েব আখতারের আপত্তিকর শব্দচয়নে পিসিবি হতাশ। জনসম্মুখে তিনি পিসিবি আইন বিভাগ ও আইন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। শোয়েব আখতার যে ভাষায় কথা বলেছেন সেটি একেবারেই অনোপযুক্ত ও মানহানিকর। কোনো সভ্য সমাজ এটি মেনে নিতে পারে না। পিসিবির আইন উপদেষ্টা তাফজল রিজভি নিজে দায়িত্ব নিয়ে শোয়েব আখতারের বিরুদ্ধে মানহানি ও ফৌজদারি মামলা করেছেন।’
তবে কিছু যৌক্তিক কথাও বলেছেন এক সময়ের গতির রাজা, ‘আমাদের আইন ও সংবিধান যেখানে বেটিংকে স্বীকৃতি দেয় না পিসিবি কী মনে করে পিসিএলে অনলাইন বেটিংকে স্বীকৃতি দিল? পিসিবি বড় ভুল করেছে এবং আমাদের সংবিধানের অবমাননা করেছে। অনলাইন বেটিংয়ের অনুমতি দিয়ে ইসলামেরও অবমাননা করেছে পিসিবি।’ এর পরই আইনের ফাঁক ফোঁকড় নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক এই পেসার, ‘আমি জানতে চাই, কোনও ক্রিকেটার ম্যাচ গড়াপেটা করে ধরা পড়লে অন্তত ১০ বছরের কারাদন্ড সংক্রান্ত আইন কেন জারি করা হল না? শ্রীলঙ্কায় এই আইন রয়েছে। এই আইন জারি করা হলে কেউ ম্যাচ গড়াপেটার মতো অপরাধ করার সাহস পাবে না। ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়েছে, এখন ২০২০। কিন্তু এখনও লোকজন ম্যাচ গড়াপেটা করে চলেছে। এটা পিসিবির আইনি বিভাগের ব্যর্থতা।’
ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নির্বাসিত হওয়ার পরেও মোহম্মদ আমির, শারজিল খানের মতো ক্রিকেটারদের পাকিস্তানের জাতীয় দলে ফেরানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন শোয়েব। এবার পিসিবি ও রিজভির পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পর বোর্ডের সঙ্গে তার দ্বৈরথ নতুন নাত্রা পেল বলেই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শোয়েব

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ