রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌরশহরে স্কুল শিক্ষক মো. সুলতানুজ্জামান হেলাল (৫০)কে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার স্কুলের অফিস কক্ষে খুন করে গুম করেছে দুর্বৃত্তরা!
সে ধনবাড়ী পৗর শহরের নলহরা (নল্যা) বাজারের আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালাক এবং উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের মৃত হাসান আলী মন্ডলের ছেলে। সে দুই সন্তানের জনক। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার এলাকায় শোকের ছায়া নেয়ে এসেছে।
পুলিশ ও নিহতের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক এবং তার ভাতিজরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে সুনতানুজ্জামান হেলাল ধনবাড়ী বাজার থেকে কাঁচা বাজার সওদা করে নল্যা বাজারে এসে বিষ্ণুর সেলুনের দোকানের সামনে তার মোটরসাইকেলটি রেখে চা খেতে যায়। দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ায় পরও সে ফিরে না আসায় কয়েকবার ফোন দেন বিষ্ণু। কিন্তু ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বিষ্ণু বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদের জানান।
বিষয়টি জেনে তার পরিবারের লোকজন এবং বাজারের স্থানীয়রা তাকে খোঁজতে শুরু করেন। খোঁজার এক পর্যায়ে তার স্কুল অফিস কক্ষের মেঝেতে বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা রক্ত, মোবাইল ফোনটি দেখতে পায় পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। তাকে খুন করে গুম করা হয়েছে বলেও ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুলতানুজ্জামান হেলাল নলহরা (নল্যা) বাজারের ‘সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলে’ দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। শিক্ষকতা করা অবস্থায় এর এক পর্যায়ে সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলের পরিচালক সহর আলীর সাথে তার দ›েদ্বর সৃষ্টি ও মাঝে মধ্যেই মনো-মালিন্য হতো। এরই ধারাবাহিকতায় সুলতানুজ্জামান হেলাল সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলের পাশেই আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। কয়েক মাস আগে স্কুলের সাইন বোর্ড লগানো নিয়েও দুজনের মধ্য ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাকে দেখে নেয়ার হুমকিও প্রদান করে সহর আলী। সে প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার অফিস কক্ষের মেঝের বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা রক্ত দেখে তাকে খুন গুম করা হয়েছে বলে হেলালের পরিবারের দাবি।
স্থানীয় সাবেক পৌর কাউন্সিলর খন্দকার খোরশেদ আলম খসরু ও ইউপি সদস্য আবুল কালম আজাদ জানান, হেলাল স্যার একজন খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। কি কারণে এমনটি ঘটেছে, তা ভেবে পাচ্ছি না। তবে কিছুদিন আগে স্কুলের সাইন বোর্ড সাঁটানো নিয়ে দুজনের মধ্য ঝগড়া হয় বলে শুনেছি।
এ ব্যাপারে সহর প্রি-ক্যাটেড এন্ড হাই স্কুলের পরিচালক সহর আলী জানান, আমি সুলতানুজ্জামান হেলালকে খুন করে গুম করা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তাকে খুন করে গুম করার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম ও এসআই মাজাহার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রাতেই খবর পেয়ে এবং সকালেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তাকে হত্যা করে গুম করার ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি তাকে খুন করে গুম করা হয়েছে এবং থানায় জিডি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।