শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সালাম তাসির
ঘুম নিঃশ্বাস
পুরোনো ছবি দেখে মনে হয়
ই’েছ বিরুদ্ধ মৌন আকাশ
বরফ শীতল অধর ছুঁয়ে লাল বেনারশী
বহু মিথ্যে সংলাপ; পুরোনো মনে আঁধার নীরবতা।
পুরোনো পথে ভাটফুল
শরীরের আবেদনে সন্ধ্যে গভীর হয়
রাতের স্টেশনে বস্ত্রহীন মানুষ নির্ঘুম সারারাত
ট্রেনের কামরায় সহ¯্র চোখ নিষ্পলক চেয়ে থাকে
আদিম অভ্যাসে।
পুরোনো ইতিহাস সংসার বিবাগী
সূর্যাস্তের দিকে এগিয়ে যাওয়া সময়
আলোর বিপরীতে থমকে দাঁড়ায়; মৌন মিছিল
আতশবাজিতে প্রাক্তন সুখ সবুজ বাতাসে
নীলবাতি জ্বেলে দেয়।
পুরোনো হাতঘড়ি
টেবিলে একা; বৃদ্ধাশ্রমে বাবার মত দুঃখ সয়ে
পৌষের সূর্যমুখী শীতে উষ্ণ নিঃশ্বাস ছাড়ে
তোমার শরীরে পুরোনো ঘাম বাবার স্মৃতিচিহ্ন
এখনও নিশ্চুপ ঘ্রাণে বিকশিত হও।
একাকিত্বে সমগ্র হয় পুরোনো পৃথিবী
ঘুম নিঃশ্বাস ফিরে না এলে
ভালোবাসা জমিয়ে রেখে লাভ কী বলো?
পুরোনো স্মৃতি ছায়ামূর্তির মতো কখনো আঁধারে
কখনো আলোর দ্রæতিতে দুঃখ জাগায়।
এনাম রাজু
নদীর কাছে
তোমাদের চোখে নিকোটিনের লগ্ন অসুখ
চিহŸা-ঠোটে পুঁজি করো সাপের বিষ
ভালোবাসার উঠানে বসে শান দাও
বিভেদের তরোয়াল...
প্রতিদিনি করি আমি প্রেমের চাষাবাদ
বৃক্ষের প্রতিবেশি পাখির কাছে পাই শিক্ষা
নদীর কাছে নেই প্রেমের দীক্ষা
সবাই আমাকে দেখিয়ে দেয় সহজ পথ
আমি হেঁটে পাড়ি দেই সুন্দরের পুলসিরাত।
কিরমানী লিটন
ধুসর- তৃষ্ণা.....
আমি তোমাকে চাই না
নিতান্ত কাছেও না,
তোমার হাতের গোলাপ দানকেও
অস্বীকার করি না,
আর অস্বীকার করি না বলেই
এই মুহুর্তে তোমাকে আমার প্রয়োজন।
খরার যে মরু- এঁকেছে হৃদয়
তাকে বলে দিও- প্রেম মানে কান্নার জল।
উত্তাপে হাতরায় বিষাদী ফসল
খরতাপে পান করে নীলের আঁচল।
মেঘের ওপারে চাঁদ,
তার পরে পড়ে তাকে ধুঁ ধুঁ বালুচর
সেখানেই সব নয়, আরও দূর
নীলিমায় তার বাড়ী- ঘর।
চৈতন্যের গহীনে অতল- তারও গহীনে কাঁদা,
আশাগুলো রঙহীন, নয় সমতল।
এখন গ্রহনকাল,
হৃদয়ের বেচাকেনা পাইকারি দর,
সত্য মিথ্যে তালগাছ, একপায়ে দাঁড়িয়ে
হাতে হাতে রিংটোন- মিথ্যে বহর।
এরপরও চেয়ে থাকা হৃদয়ের পানে,
জীবনের পথচলা- প্রতিটা প্রহর।
এই নাও, ছুঁয়েছি হৃদয়-
নব-ধারায় পান করো তৃষ্ণার জল।
হাসান নাজমুল
অপ্রিয় অদৃষ্টের সাথে
আমার পাওয়াগুলো অনাকাক্সিক্ষত,
এসব প্রাপ্তির প্রতি নেই ভালোবাসা,
চাওয়াগুলো শুধুই ব্যর্থ হয়েÑ
চলছে মরীচিকার পিছু;
জীবনের সসীম সময়েÑ
নিরুপায় সব আকুলতা,
আবেগ-উ’ছ¡াস উৎকণ্ঠায় কাটায় দিন,
না চেয়েও পাওয়া হয় অসংখ্য বেদনা,
হাজারো দিনের পুষে রাখা আশা
হঠাৎই ভেসে যায় নীল দরিয়ায়
ব্যথায় ব্যথায় কেঁদে ওঠে প্রাণ,
সে-কান্নার আওয়াজ
প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে চোখের প্রান্তরে,
কাছের অপ্রিয় অদৃষ্টের সাথে
বারবার দ্যাখা হয় শুধু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।