বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আফ্রিকান দেশ সোয়াজিল্যান্ডে বসবাসকারী প্রবাসী ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ মিয়া গত ১৫ ডিসেম্বর লিটন বেপারী নামক এক বাংলাদেশির হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার মৃগী গ্রামের মৃত আলহাজ সফিল্লা মিয়ার ছেলে নিহত ইউসুফ মিয়া ভাগ্যান্বেষনে ২০০১ সনে সোয়াজিল্যান্ডে পাড়ি জমান।
গতকাল বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট যোগে নিহত ইউসুফ মিয়ার লাশ হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছেছে। বিমান বন্দরে নিহত ভাইয়ের লাশের কফিন দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বড় ভাই গিয়াস উদ্দিনসহ অন্যান্য স্বজনরা। বিমান বন্দর থেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র এতথ্য জানিয়েছে। কিছুদিন পর আত্মীয় স্বজনদের আর্থিক সহযোগিতায় অপর এক স্বদেশীর সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা শুর করেন। পরে তাঁর মেধা সততা এবং শ্রমের বিনিময়ে ২০০৩ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ব্যবসায় নিয়োজিত ছিলেন। সোয়াজিল্যান্ডে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাস্থ প্রিটোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী মাঝে মাঝে সোয়াজিল্যান্ড এসে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের সেবা দিতেন।
নিহত ইউসুফ মিয়ার আত্নীয় প্রবাসী মোহাম্মদ হাসান জানান, রাষ্ট্রদূত এর পরামর্শে সোয়াজিল্যান্ডে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠনের পরামর্শ প্রদান করেন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা এবং হাতাহারি ঘটনা ঘটায় নির্বাচন বন্ধ ঘোষনা করা হয়। এতে প্রবাসীদের মাঝে কোন্দলের সৃষ্টি হয়।
পরের দিন উভয় পক্ষের সমঝোতায় কোন্দল সমাধান করার জন্য মিটিং আহবান করা হয়। উক্ত সমঝোতা সভার সুযোগে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খুনি লিটন বেপারী এবং মিলন বেপারী হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে ইউসুফকে পিছনের দিক থেকে ধারাল ছুড়ি দিয়ে আক্রমণ করে তাৎক্ষণিকভাবে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে ডাক্তার ইউসুফ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। খুনীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খুনি লিটন বেপারী এবং মিলন বেপারী দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার অধিবাসী বলে জানা গেছে।
নিহত ইউসুফ মিয়ার ভাই গিয়াস উদ্দিন সোয়াজিল্যান্ড প্রসাশন এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রবাসী ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়ার হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান। নিহত ইউসুফ মিয়া তার স্ত্রী, ৫ মাসের এক ছেলে এবং ১০ বছরের এক মেয়েসহ বহু আত্নীয় স্বজন রেখে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।