পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুনশী
রোজাদারের মেসওয়াক ও সুরমা ব্যবহার
মেসওয়াক করার ফজিলত অনেক বেশী। রাসূলুল্লাহ (সা:) পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের সময় মেসওয়াক ব্যবহার করেছেন। বিশেষ করে রোজাদার অবস্থায়ও তিনি মেসওয়াক করেছেন। দিনের শুরু অথবা দিনের শেষে অথবা অন্য সময় রোজাদারের জন্য মিসওয়াক করা বৈধ। মনে রাখতে হবে যে, রোজাদার এবং গায়রে রোজাদার সকলের জন্য মেসওয়াক করা সুন্নত। কাঁচা এবং শুষ্ক সব ধরনের মেসওয়াক রোজাদারের জন্য বৈধ। (সহীহ বুখারী: খ--২, পৃষ্ঠা ৬৮২, ফাত্হুল বারী: খ- ৪, পৃষ্ঠা ১৫৮, তাসহিদ : খ- ১৯, পৃষ্ঠা ৫৮)।
মেসওয়াকের সময় দাঁতের মাঢ়ি থেকে রক্ত বের হলে কোন সমস্যা হবে না, এবং এতে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে, রক্ত থুথুর সাথে ফেলে দিতেই হবে। গলাধকরণ করা যাবে না। (ফাতাওয়ায়ে লাজনায়ে দায়েমাহ: খ- ১০, পৃষ্ঠা ২৬৫; আল ফাতাওয়া: নং ৩৭৮৫)।
অনুরূপভাবে রোজাদার চোখে সুরমা ব্যবহার করতে পারবে। কান ও চোখের ড্রপ ব্যবহার করতে পারবে। যদিও এতে স্বাদ অনুভূত হয়। কারণ এগুলো খাদ্যনালী নয়। কিন্তু নাকের ড্রপ যদি পেটে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ ( সা:) নাকে বেশী পানি দিতে নিষেধ করেছেন। যদি ড্রপ পেটে না পৌঁছে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। (আল-ফাতাওয়া: খ- ১, পৃষ্ঠা ৫২০)। ইনহেলার (হাঁপানীর স্প্রে) ও ড্রপ জাতীয় বস্তু, যা ফুসফুসে যায়, রোজাদার ব্যবহার করতে পারবে। এতে কোন সমস্যা নেই। (ইবনে উমাইশিন ঃ ফাতাওয়া, খ- ১ পৃষ্ঠা ৫০০।
ইনজেকশনে রোজা ভাঙ্গবে না। চাই তা মাংস, রগ, যেখানেই গ্রহণ করা হোক। তবে হ্যাঁ খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত ইনজেকশনে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ইবনে উসাই মিন : রেসায়েল, খ- ১৯, পৃষ্ঠা ২১৩-২১৫)। কোন রোজাদার যদি খাদ্য জাতীয় ইনজেকশন নিতে বাধ্য হয় তাহলে অসুস্থতার জন্য তা সে নিবে এবং পরে রোজাটির কাযা আদায় করবে। হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, ‘যদি আমার উম্মতের উপর কষ্ট না হত, তাহলে আমি প্রত্যেক সালাতের সময় তাদেরকে অবশ্যই মেসওয়াকের নির্দেশ দিতাম।’ (সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৮৪৭; সহীহ মুসলিম: হাদীস নং ২৫২)।
হযরত আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূলূল্লাহ (সা:) বলেছেন, মেসওয়াক হলো মুখ পবিত্র রাখা এবং আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করার বস্তু। (মুসনাদে আহমাদ, খ- ৬, পৃষ্ঠা ৬২; সুনানে নাসহিদ খ- ১, পৃষ্ঠা ১০; সুনানে দারামী: হাদীস সং ৬৮৪; মুসনাদে আবু ইয়ালা: হাদীস নং ৪৯৪৬, সহীহ ইবনে খুযাইমা পৃষ্ঠা ১৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, পৃষ্ঠা ১০৬৭)।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বলেছেন, দিনের শুরু এবং শেষে মেসওয়াক করাই শ্রেয়। তিনি আরো বলেছেন, রোজাদার শুষ্ক, ভেজা, মেসওয়াক দিয়ে মেসওয়াক করতে পারবে। এতে কোনই সমস্যা নেই। (মুসনাদে ইবনে আবি সায়বাহ: খ- ২, পৃষ্ঠা ২৯৬)।
হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা:) থেকে বর্ণিত তিনি রোজা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করতেন। (সুনানে আবু দাউদ: হাদীস নং ২৩৭৮; ইবনে আবি শায়বাহ: খ- ২, পৃষ্ঠা ৩০৪, জামে তিরমিজি খ- ৩, পৃষ্ঠা ১০৫; ইবনে আবি শায়বাহ: খ- ২, পৃষ্ঠা ৩০৪)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।