Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুবারক হো মাহে রমজান

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী : মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা ফরজ। এই ফরজ পালন করতে হবে যথাযথভাবে। মাহে রমজানে যে ব্যক্তি জেনে-শুনে ও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কারণ ব্যতীত ইফতারের সময় হওয়ার পূর্বে ইফতার করে তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। এমনটি করা কবিরা গুনা। কবিরা গুনাহের শাস্তি কঠোর হতে কঠোরতর হওয়া অবধারিত। এই যদি হয় সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতারের শাস্তি তা হলে যে মাহে রমজানের রোজা রাখে না অথবা কোন কারণ ব্যতীত ইফতারের সময় হওয়ার পূর্বে ইফতার করে সে কঠিন হতে কঠিনতর শাস্তি ভোগ করবে এতে কোনই সন্দেহ নেই। সুতরাং যার থেকে এরূপ আচরণ প্রকাশ পায় তার কর্তব্য হচ্ছে দ্রুত কবিরা গুনাহের পথ পরিহার করা ও কায়মনে তাওবাহ করা। অন্যথায় তার নিস্তার লাভের কোনই উপায় নেই।
হযরত আবু উমামা বাহেলী (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আকস্মাৎ দু’জন লোক এসে আমার বাহু ধরে আমাকেসহ তারা এক দুর্গম পাহাড়ে গমন করল। তারা আমাকে বলল: পাহাড়ে আরোহণ করুন। আমি  বললাম: আমি তো আরোহণ করতে পারি না। তারা বললো, আমরা আপনাকে সাহায্য করব। আমি তাদের সহযোগে পাহাড়ের ওপর আরোহণ করলাম। যখন পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছলাম তখন বিভিন্ন  বিকট শব্দ শুনতে পেলাম। আমি বললাম, এতসব বিকট আওয়াজ কিসের? তারা বললো, এগুলো জাহান্নামীদের করুন ঘোঙ্গনির চিৎকার ধ্বনি। তারপর তারা আমাকে নিয়ে সেখান থেকে রওয়ানা করল। আমি এমন লোকদের সম্মুখীন হলাম যাদেরকে হাঁটুতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তাদের চোয়াল ক্ষতবিক্ষত। সেখান হতে অবিরত রক্ত ঝরছে। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? তারা বললো, এরা হচ্ছে  সে সব লোক, যারা রোজা পূর্ণ হওয়ার আগে ইফতার করত।
(তাবরানি ফিল কাবির : খ- ৮, পৃষ্ঠা ১৫৭, হাদীস নং ৭৬৬৭; নাসাঈ ফিল কুবরা: হাদিস নং ৩২৮৬; বায়হাকী: খ- ৪, পৃষ্ঠা ২১৬; সহীহ ইবনে খুযাইমা: হাদীস নং ১৯৮৬; ইবনে হিব্বান : হাদীস নং ৭৪৬১; মুস্তারেকে হাকেম: খ- ১, পৃষ্ঠা ৫৯৫)
উপরোক্ত হাদীস হতে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে স্বপ্নযোগে কবর আযাবের কতক নমুনা দেখানো হয়েছে। নবীদের স্বপ্ন সত্য ও ওহীর অংশ। উক্ত স্বপ্নে কবর আযাবের কঠিন চিত্র ফুটে উঠেছে, সুতরাং মুমিন মুসলমানদের উচিত কবর আযাবকে ভয় করা, তার উপকরণ থেকে বেঁচে থাকা ও তা থেকে সুরক্ষার উপায় উপকরণ গ্রহণ করা বস্তুত কবর আযাব সত্য। ইহা কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ:) বলেন, কবরের আযাব সত্য। গোমরাহ ও পথভ্রষ্ট ব্যতীত কেউ তা অস্বীকার করতে পারে না।
(ইসবাতু আযাবিল কবর লিল বায়হাকী : খ- ১, পৃষ্ঠা ১১০; আররুহ: পৃষ্ঠা ৫৭; আসসুন্নাহ লিল লালেকায়ি: খ- ৬, পৃষ্ঠা ১১২৭)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুবারক হো মাহে রমজান
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ