শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বাদল বিহারী চক্রবর্তী
সরিয়ে দাও তোমার মেঘের আস্তরণ
আমি অবাক হয়েছি বলেই বুঝি হাত গুটিয়ে বসে আছো,
স্কচ্-ট্যাপ লাগিয়ে রেখেছো তোমার সুরম্য মুখশ্রীতে ?
জানি, আমার এ অবাক বিস্ময়কে তুমি--
ফ্যাসিবাদী ধমকের নামান্তর জেনে অভিমান করে
মিছেমিছি বলছো আমায়, আমার এ মতাদর্শ আর
লেখার রূপকল্প নাকি সবই যথার্থ।
না, এমনটি বোঝাবার কোন অবকাশ নেই।
অবাক হতেই পারি, কিন্তু তোমার স্বাধীনতাকে
অবদমিত করে তো নয় ; তবু কেন এ নির্লিপ্ততা ?
ভাঙো, তোমার নির্লিপ্ততার আড়মোড়া ভেঙে
তুমি বয়ে চলো, ধেয়ে নিয়ে যাও সবেগে, সত্বরণে, ক্ষিপ্ততায়
তোমার আকাশভরা মেঘপুঞ্জিত বিষণœতা।
দেখবে, তার আড়ালেই দৃশ্যমান এক শুভ্র শরতের
আলোকবর্তিকা।
তুমি সরিয়ে দাও হে ব্রতী, তোমার মেঘের আস্তরণ।
টিপু সুলতান
জানালা খোলা
গাছপাতায় ড্রিংক ভয়েসের শব্দ
জানালায় চুপচাপ ফিরে দেখছি
মেঘের উতল ভিটেয় গ্লাস চুমিয়ে
কেউ যেনো তেষ্টা পান করছে
রোদ আর ছায়াপাখি,শুঁকনো পাতার প্রচ্ছদ
আমি তখন পৃথিবীর চারপাশ মাপছি;
শফিক নহোর
মায়াকুসুম
মায়া-কুসুম বিকেলে ,লাজুক রোদ্দুর
তোমার মুখখানি ভাসে বরফগলা জলে
আমি নাটাই ধরি, স্বপ্ন ছিঁড়ে উড়ে
গ্রহণ লাগা চাঁদে, স্বপ্ন আঁকি জলে ।
প্রজাপতির ডানায় রংধনুর সাত রঙ ছুঁয়ে দেয় হৃদয়
অপারগ হাতের স্পর্শ করতে চায়
বোতাম খোলা জানালার কপাট,
জলপাই রঙের শাড়ির আঁচল কাফন কাপড়
কাঁচা বাতাসে ভেসে আসে আসমানি প্রণয় পত্র।
মায়া-কুসুম বিকেলে স্মৃতির শহরে ঘুঘু ডাকা বিকেল
আমাকে তাড়া করে , বরফ গলা জলে ভাসা ছবি।
আরাফাত বিন আবু তাহের
পাঁজর ভেঙে রক্ত এলো
লোক ছিল এক দুঃখ ছিল তার কুঁড়ে ঘরে
চাঁদের তলায় দু›টি চালের আঁধার কোণে
শোক ছিল তার পাঁজর ভেঙে রক্ত এলো
সব হারালো। পথের পাথর লালছে হলো।
দুঃখে দুঃখে ভেসেই গেলো পাথার-সাগর
তবুও আশায় গুনছে কপাল- খুলবে কবে
এমন যে তার ছোট কপাল জানত কে আর
মাছের চোখে নদেয় গেলে দেখতো দুপুর।
দুপুরবেলায় জ্বলত সে চোখ নদীর জলে
এমন মাঝি- দুঃখের কৃষক- ভুক্তভোগী
আকাশ দেখে চাঁদকে জানায় মনের কথা
কাটল না আর অসুখ দেহের বিবেক মরে।
ঠাঁই হলো না কেউ দিলো না একটু সুযোগ
কঠিন সমাজ, কঠিন কানুন-পুঁজিবাদের
সব হারিয়ে কেমন এ দেশ- সামনে সবার
সেই মানুষটি গুমরে কেঁদে কুঁকড়ে গেলো।
এস এম রাকিব
হৃৎপিন্ডে রক্তক্ষরণ
ফুল ফোটে,ঝরে যায়
আবার ফোটে, আবার ঝরে যায়।
এক সময় ফুল আর ফোটে না
পাঁপড়িও আর ঝরে না,
তখন শুধু পাতা ঝরে,
বুড়ো পাতা, কচি পাতা
সব ঝরে যায়,
ডাল গুলো শুকিয়ে যায়,
প্রতিটা মুহূর্ত অনাদরে খসে পড়ে
জীবন বৃন্ত থেকে।
রঙিন চোখ দুটো ফ্যাকাশে
পান্ডুর হয়ে যায়।
বুকের মধ্যে হাহাকার জাগে
জীবন নদীর মোহনা শুকিয়ে যায়।
বালুচরে বিলীন হয়ে যায় ভাঙা গড়ার ইতিহাস।
অনেক স্বপ্ন, অনেক কল্পনা অনেক যন্ত্রনা
অনেক কষ্ট করেও প্রেমিকার মুখের আদল মনে পড়ে না।
ডুকরে কেঁদে ওঠে মন
শুন্যতায় ভরে ওঠে বুক
নিশ্বাসে অবিশ্বাসের গন্ধ পাওয়া যায়
তেমনি এক সময় চোখ ফেটে আর জল পড়েনা
তখন শুধু রক্ত ঝরে, হৃদয়ের রক্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।