পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইল বিরোধী ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোতে আগ্রাসন চালানোর লক্ষ্যে ৯/১১ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাজানো হামলা। যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বিশ্লেষক জেমস হেনরি ফেটজার ইরানের প্রেস টিভিকে একথা বলেছেন। ফেটজার সোমবার বলেন, ইরাকের জনগণের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সংঘবদ্ধভাবে চালানো ৯/১১ হামলার অবধারিত ফল হলো ইরাকে চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কট। এই বিশ্লেষক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ যৌথভাবে ৯/১১ সাজিয়েছিল। তিনি জানান, ৯/১১ এর তাৎক্ষণিক পরিণতি হিসেবে আমেরিকান কর্মকর্তাদের ইরাকে আগ্রাসন চালানোর কারণ দেশটির তেল সম্পদ। ফেটজার বলেন, ইসরাইলের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো ধ্বংসযজ্ঞ প্রকৃতপক্ষে জঘন্য এবং হতাশাজনক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখানে যা করেছে, তা কখনও ভুলবে না বিশ্ব। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি কালোদাগ হিসেবে থাকবে। ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ মান সোমবার নিশ্চিত করেছে যে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে আটজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আছেন। এছাড়া এই বিক্ষোভে আহত হয়েছেন ছয় হাজারের বেশি মানুষ। মানুষের সমাবেশ দ্রুত দাঙ্গায় পরিণত হচ্ছে এবং কিছু বিক্ষোভকারী ইতোমধ্যে দেশটির সরকারি সম্পদ ভাংচুর শুরু করেছেন। এছাড়া কিছু বিক্ষোভকারী বাগদাদের গ্রিন জোনে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এখানেই সরকারি ভবন এবং বিদেশি কূটনৈতিক মিশনগুলো অবস্থিত। প্রেসটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।