মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বে আধিপত্য বজায় রাখার লক্ষ্যে গত দুই দশক ধরে সিআইএ সন্ত্রাসবাদী হুমকি, চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ার সঙ্ঘাতের দিকে বেশিরভাগ মনোযোগ দিয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশও সিআইএ’র গতিবিধি নজরদারির জন্য বায়োমেট্রিক স্ক্যান, ফেসিয়াল রেকগনিশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং হ্যাকিং সরঞ্জামের মতো উদ্ভাবন কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান দক্ষতা প্রদর্শন করেছে। ফলে ক্রমেই এজেন্ট হারাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ।
গত সপ্তাহে সিআইএ’র কর্মকর্তারা বিশ্বব্যাপী তাদের সমস্ত স্টেশন এবং ঘাঁটিগুলোকে পাঠানো এক গোপন বার্তায় স্বীকার করেছে যে, বিভিন্ন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য নিয়োজিতদের সংখ্যা বিপজ্জনক হারে কমছে। বার্তাটিতে তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে, বিভিন্ন দেশ থেকে গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন গুপ্তচরবৃত্তির জন্য যাদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তাদের বহুজনকে বন্দী বা হত্যা, গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অনেককেই আপোষ করতে হয়েছে। ফলে এসব অঞ্চলে নতুন করে এজেন্ট নিয়োগ ও কাজ চালিয়ে পাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে সংস্থাটির জন্য।
সিআইএ’র বার্তাটিতে বলা হয় যে, সংস্থাটি তার প্রতিপক্ষদের অবমূল্যায়ন করেছে এই বিশ্বাসে যে, তাদের কর্মকর্তাগণ এবং কর্মপদ্ধতি অন্যান্য গোয়েন্দা পরিষেবার চেয়ে ভাল। কিন্তু গবেষণার ফলাফল দেখিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেটে থাকা দেশগুলোও গোয়েন্দা পরিষেবায় দক্ষ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া, চীন, ইরান এবং পাকিস্তানের মতো দেশের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এজেন্টদের খুঁজে বের করেছে এবং তাদের বন্দী বা হত্যা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে ডবল এজেন্টে পরিণত করেছে, যারা উল্টো তথ্য গোপন ও ভুল প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।
কিছু প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা বিশ্বাস করেন যে, কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী হুমকির উপর নজর দেওয়ার এবং ঝুঁকিপূর্ণ গোপন যোগাযোগের ওপর নির্ভর করে চলাতে বিরোধী গোয়েন্দা পরিষেবাগুলোকে ব্যর্থ করে দেয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাটির দক্ষতায় মরিচা পড়ে গেছে। বিদেশী সরকারের উপর গুপ্তচরবৃত্তির তথ্য প্রদান, প্রশিক্ষণ, নির্দেশনা এবং কর্মপন্থা সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ভিতরে তথ্যদাতা তৈরির থেকে ভিন্ন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা এর অন্যতম উদাহরণ।
সিআইএ’র প্রাক্তন কর্মকর্তা ডগলাস লন্ডন বলেছেন, ‘কখনও কখনও কিছু জিনিস আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, কিন্তু সেখানেও অসতর্কতা ও অবহেলার ঘটনা ঘটে এবং সিনিয়র পদে থাকা ব্যক্তিদের কখনোই দায়ী করা হয় না।’ তিনি বলেন, ‘এটা স্বীকার করাটা সদিচ্ছা যে, আমরা ততটা নিখুঁত নই যতটা আমরা মনে করি। এটা একটা ইতিবাচক বিষয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।