পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ.কে.এম. ফজলুর রহমান মুনশী
সিয়াম ফরজ হওয়ার স্তরসমূহ
সিয়াম সাধনার ফরজিয়ত কয়েকটি স্তরে বিন্যস্ত ও পরিসাধিত হয়েছে। এতদ সম্পর্কে হযরত বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহাবীদের অভ্যাস ছিল তাদের সিয়াম পালনের পর যখন খাবার উপস্থিত হতো আর তারা খাবার গ্রহণ না করে ঘুমিয়ে পড়তো, তাহলে সে রাত এবং পরবর্তী দিনে তারা আহার গ্রহণ করতেন না। হযরত কায়েস ইবনে সিরমা আল আনসারী (রা.) রোজার শেষে খানার সময় স্ত্রীর নিকট বললেন, তোমার নিকট খাবার আছে? উত্তরে স্ত্রী বলল নেই। তবে আমি তোমার জন্য ব্যবস্থা করছি। কায়েস (রা.) ছিলেন দিনের কর্মক্লান্ত। তার দু’চোখে ঘুম এসে গেল। তার স্ত্রী কিছু নিয়ে এসে তাকে দেখে বলল, আফসোস! আপনি বঞ্চিত হলেন। পরদিন দুপুর বেলা কায়েস (রা.) বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (সা.)কে অবগত করানো হলো। তারপর আল্লাহপাক এই আয়াত নাজিল করলেন : “সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে।” (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৭)। সাহাবায়ে কেরাম এ আয়াত নাযিল হলে খুবই খুশী হলেন। তারপর আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করলেন : “আর আহার কর ও পান কর যতক্ষণ না ফজরের সাদা রেখা কালো রেখা থেকে স্পষ্ট হয়।” (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৭)।
হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক মাসের (আইয়্যামে বীজের) তিনদিন ও আশুরার দিন রোজা রাখতেন। তাপর আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করেন। “হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে দেয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে। ইহা যাদেরকে অতিশয় কষ্ট দেয়। তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়া একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করা।” (সূরা বাকারাহ : আয়াত ১৮৩)। তখন যার ইচ্ছা সাওম পালন করত, যার ইচ্ছা ইফতার করত ও প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিত। এটা তখন হালাল ছিল।
তারপর আল্লাহ পাক এই আয়াত নাজিল করেন, “রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে।” এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ পাক সকল মুমিন-মুসলমান আকেল, বালেগ, মুকিম ও সুস্থ ব্যক্তির উপর সিয়াম ফরজ করে দেন। অসুস্থ ও মুসাফিরকে তাতে শিথিলতা দান করেন। আর যে সিয়াম পালনে অক্ষম তার ব্যাপারে খাদ্যদান বহাল থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।