বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে নিজ দোকানে খুন হয়েছেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। গতকাল রোববার দুপুরে ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার মনিশ্রী জুয়েলার্স থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। নির্মম খুনের শিকার সঞ্জয় ধর (৪৬) ওই জুয়েলারীর মালিক। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, এটি পরিকল্পিত হত্যা, পরিচিত কেউ এই খুনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তবে হত্যাকাÐের রহস্য এখনও অজানা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) আরেফীন জুয়েল জানান, গলা কাটা ও পেটের দুই পাশে ছুরিকাঘাত অবস্থায় লাশটি পাওয়া গেছে। সঞ্জয় ধর দোকানের ভেতরে থাকতেন। স্থানীয় এক মহিলার কাছ থেকে বাসায় রান্না করা ভাত প্রতিবেলা কিনে খেতেন। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় দোকান বন্ধ ছিল। রোববার দুপুরে ওই মহিলা সঞ্জয়কে ভাত দিতে গেলে দোকানের ভেরে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। লাশে পচন ধরায় দোকানের আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার কথা জানিয়ে আরেফীন জুয়েল বলেন, ধারণা করছি তাকে শুক্রবার রাতে খুন করা হয়েছে।
জুয়েলারী পরিদর্শন করে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সেখানে কোন লুটপাটের আলামত দেখা যায়নি। তবে হত্যাকাÐটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। লাশের পাশে সিন্দুকের চাবি পড়ে ছিল। সেটি দিয়ে সিন্দুক খুলে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। তার মোবাইল ফোনটিও নিয়ে যায়নি তারা। শুধু দোকানের ভেতরে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেটি নিয়ে গেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে- পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকারীরা চলে গেছে। এটি ডাকাতি নয় পরিকল্পিত হত্যাকাÐ বলছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, জুয়েলারীর আড়ালে সঞ্জয় সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা ঋণ দিত। বন্ধকী ব্যবসাও করত। এ নিয়ে কোনো বিরোধ থেকে খুন হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যুবক খুনের রহস্য উদঘাটন
তিনদিন আগে ইপিজেড থানার মাইলের মাথা এলাকায় দিনদুপুরে যুবক খুনের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাগেরহাটের মংলা থেকে গ্রেফতার মো. কাইয়ূম পুলিশকে জানিয়েছে, মদ্যপ অবস্থায় ঝগড়া থেকে তারা তিনজন মিলে মোবারক হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে। খুনের পর কাইয়ূম পালিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। শনিবার রাতে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুইজনকে ধরতে অভিযান চলছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই এলাকায় একটি মদের দোকানের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মো. মোবারককে। মোবারক মাদকাসক্ত এবং তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। নগর পুলিশের এডিসি আরেফিন জুয়েল বলেন, ওই এলাকার লাইসেন্সধারী একটি মদের দোকানে মদ খেতে গিয়েছিল মোবারক। আগে থেকেই সেখানে মদ্যপ অবস্থায় বসে ছিল কাইয়ূমসহ তিনজন। মোবারকও মদ পান করে। মদ্যপ অবস্থায় তারা ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে মদের দোকানের পাশে একটি টং দোকান থেকে ধারালো ছোরা বের করে কাইয়ূম মোবারককে ছুরিকাঘাত করে। জিজ্ঞাসাবাদে কাইয়ূম দাবি করেছে- মোবারক তাদের পূর্ব পরিচিত এবং তারা একসঙ্গে নিয়মিত ওই দোকান থেকে মদ কিনে খেত। তাকে হত্যার উদ্দেশ্য কাইয়ূমের ছিল না। মদ্যপ অবস্থায় কথা কাটাকাটি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।