বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। পারিবারিক কলহের কারণে পুত্রবধূ রুকাইয়া খাতুন (২২) তার শাশুড়ি রোজী খাতুনকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে। নিহত রোজী খাতুন মৃত আমিন উদ্দীনের স্ত্রী। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূকে আটক করেছে। শনিবার ইফতারের পর পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, রোজী খাতুন একজন নিরীহ স্বভাবের মহিলা ছিলেন। কারও সাথে কোন সময় উচ্চস্বরে কথা বলতেন না। কিন্তু একমাত্র পুত্রকে বিয়ে দেয়ার পর থেকেই পুত্রবধূ শাশুড়িক মেনে নিতে পারছিলো না এবং সংসারের সকল কর্তৃত্ব নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ায় চেষ্টা করতো। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ পুত্রবধূ তার শাশুড়ি রোজীর সাথে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সূত্র জানান, শনিবার সন্ধ্যায় রুকাইয়ার পিতার বাড়ি থেকে কয়েকজন লোক তার শ্বশুর বাড়িতে আসে। এ সময় তার স্বামী রনজু বাড়িতে ছিলেন না। হঠাৎ ওই বাড়ি থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যায়। এ সময় তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে রোজি খাতুনকে ঘরের মধ্যে থাকতে দেখেন এবং তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখেন। দ্রæত তাঁকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজী খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আসাদুজ্জামান শনিবার রাত ৯ টায় স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায় জানান।
পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুল হক গতকাল রোববার দুপুরে ইনকিলাবকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুত্রবধূ রুকাইয়াকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। শাশুড়ি হত্যার সাথে পুত্রবধূর সংশ্লিষ্টতা আছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জ্ঞাত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।