Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এ সপ্তাহের কবিতা

| প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মোহাম্মদ আবুল হোসেন

ছন্দে ছন্দে বর্ণবোধ

গাইতে গেলে গান যেমন ‘সা-রে-গা-মা’ শিখতে হয়,
ভাষাবোধেও লাগে তেমন সঠিক বর্ণ-পরিচয় ।
বাংলা ভাষায় পঞ্চাশটি আছে সরল বর্ণ,
এগারোটি স¡রবর্ণ, বাকি ব্যঞ্জনবর্ণ!
এর বাইরেও, আরো-কিছু যুক্তবর্ণ পাইজ্জ
জানতে হবে সঠিকভাবে তাদের পরিচয় ।

‘অঙ্গ, বঙ্গ, রঙ্গে’ আছে যুুক্তবর্ণ ‘ঙগ’(উঁয়ো-গ),
‘রঞ্জন’ ও ‘ব্যঞ্জনে’ আছে ‘ঞ’ আর ‘জ’ (বর্গীয়-জ)।
‘জ’ আর ‘ঞ’ দিয়ে, ‘জ্ঞান-বিজ্ঞান’ লিখতে হয়,
না-জানলে থেকে যাবে সারা-জীবন ‘অজ্ঞ’ ভাই ।

‘মঞ্চ, পঞ্চ, সঞ্চয়ে’তে যুক্তবর্ণ ‘ঞচ’,
‘অবাঞ্ছিত, বাঞ্ছনীয়’জ্জ লিখতে লাগে ‘ঞছ’।

‘ট’-বর্গীয় বর্ণ-সনে যুক্ত হয় ‘ণ’(মূর্ধন্য-ণ),
‘ঘণ্টা, কণ্ঠ, পন্ডিতে’ তাই দিতেই হবে ‘ণ’।
‘ত’-বর্গীয় বর্ণ-সনে, যুক্ত হয় ‘ন’(দনÍ-ন),
‘দন্ত, গ্র্র্রন্থ, ছন্দ, গন্ধে’জ্জ সর্বত্র তাই ‘ন’।

‘বৈঞ্চবী’য় ‘তৃঞ্চা’ নিয়ে ‘কৃষ্ণ’কে যে পেতে চায়,
‘ষ’ ও ‘ণ’-এর যুক্ত-স¡রূপ জানা চায়।
‘ষ’ ও ‘ণ’ আছে ‘বিঞ্চু’ এবং ‘উঞ্চতা’য়,
‘চলিষ্ণু’ ও ‘কৃষ্ণচূড়া’ও এই-নিয়মেই লিখতে হয়।

হয় যদি কেউ ‘ব্রাহ্মণ’ কিংবা জš§ ‘ব্রাহ্মণবাড়ীয়া’য়,
‘হ’ ও ‘ম’-এর যুক্ত-স¡রূপ না-জেনে তার উপায় নাই।
‘হ’ ও ‘ম’ যুক্ত আছে জ্জ ‘ব্রহ্মপুত্র, ব্রহ্মা’তে,
আরও আছে ‘ব্রহ্মান্ড, ব্রহ্মচারী, ব্রাহ্ম’তে।

‘চিহ্ন’ শব্দের যুক্তবর্ণে ‘হ’-এ ‘ন’ যুক্ত হয়,
‘মধ্যাহ্ন’ এবং ‘আহ্নিক’ও জ্জএকইভাবে লিখতে হয়।


‘ণত্ব’-বিধান অনুযায়ী দুটি বানান ভিন্ন হয়,
‘অপরাহœ ও পূর্বাহ্টেন’ তাই ‘হ’-এ ‘ণ’ যুক্ত হয় ।

‘অন্ন’ শব্দের যুক্তবর্ণে ‘ন’ যোগ ‘ন’ ,
‘ছিন্নœ , ভিন্নœ , নবান্ন’তেও ‘ন’ ও ‘ন’।

‘বিষণœ’তে ‘ণ’-এ, ‘ণ’ যুক্ত হয় ,
একইভাবে, এই-নিয়মে ‘ক্ষুণœ’ শব্দ লিখতে হয়।

‘নিম্ন’ শব্দে যুুক্ত হয় ‘ম’-এর সাথে ‘ন’,
‘জ›ম’ এবং ‘উ›মাদে’ হয় ‘ন’ যোগ ‘ম’।
‘উ›মীলন’ ও ‘উ›েমষে’ও, ‘ন’ যোগ ‘ম’ ,
‘সম¥ান’ এবং ‘সম¥ানী’তে, ‘ম’-এর সাথে হবে ‘ম’।
‘আÍীয়’তে যুক্তবর্ণে ‘ত’-এর সাথে আছে ‘ম’;
‘রতœ’-‘যতেœ’ দিতে হবে ‘ত’-এর নিচে ‘ন’!

‘লক্ষ’ শব্দের যুক্তবর্ণে জ্জ আছে ‘ক’ ও ‘ষ’ ,
‘ল²ী’ লিখতে, তার সাথে, যুক্ত-করতে হবে ‘ম’।
‘সূক্ষ¥’তেও, ‘ক’ ও ‘ষ’ ‘ম’ ,
‘তীক্ষè’তে, ‘ক’ ও ‘ষ’ ‘ণ’। (অসমাপ্ত)

তাহমিনা কোরাইশী
অনন্ত প্রেম

আদি যুগ থেকে সভ্যতায় উত্তরণের
পথ বেয়ে পাথরে পাথর ঘষে তুমি সেই আগুন
সূর্য থেকে তাপ কেড়ে রেখেছি গৃহকারাগারে
শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে।
তুমি দাহ্য, তাই তোমাতেই আত্মাহুতি
আগুনে পুড়ে যেমন সোনা হয় খাঁটি
পোড়ে মন অহরহ অপূর্ণতায় সবই হয় মাটি।
দাবানল-দাবদাহে বন উজাড়ের কালাকালে
মন সেঁউতি দিয়ে ক’ আঁজলা জল ঢালা যায় আর?
পতঙ্গেরও সাধ হয় আগুনকে ভালোবাসা দিতে
আত্মাহূতিতে প্রেম চিনে নিতে?
এই দেহ আছে অবিকল
পোড়ে মন কাঠকয়লা রক্ত বরণ
শতাব্দীর বেদনা বুকে চেপে মাটির গভীরে
তুমি সেই কয়লা খনিতে যেন টুকরো হীরক
আমার অনাদি প্রেম অনন্ত আগুন।

ইলিয়াস আহমেদ
এ শহরের গল্পগুলো

এ শহরের গল্প গুলো বড্ড তাড়ার
এ শহরের গল্প গুলো চরিত্র ভাড়ার
এ শহরের গতি গুলো সব একলা মুখী
এ শহরের সুখগুলো সব ভীষণ দুঃখী
এ শহরের মানুষগুলোর রকম একই
এ শহরের দৃষ্টি গুলো বড্ড মেকি
এ শহরের বাতাস গুলো বদ্ধ ভীষণ,গুমরে মরে।
এ শহরের আকাশ কাঁদে মুক্ত হওয়ার হাহাকারে
এ শহরের প্রেম গুলো তে গোলাপ কাঁদে
এ শহরের ভালাবাসা খাটের ফাঁদে।
এ শহরের অসুখগুলোয় দাঁত কেলিয়ে কসাই হাসে
এ শহরের বদ্ধ ঘরে একার হয়ে সুখেরা ভাসে।
এ শহরের কবর গুলো উর্ধ্বমুখী, আকাশ ছোঁয়া।
এ শহরে দেহগুলো সস্তা ভীষণ;
অকালেতেই যায় রে খোয়া।

আফরীন মুক্তি
এখনও

এখনও নিঃশব্দে, নিরবে
কোলাহলে, কখনও বা নিস্তব্ধতায়
হেটে চলি, মালবিকার বকুল বিছানো পথ ধরে।
এখনও আলোতে, আঁধারে
গন্ধে, কখনও বা গানে
ভেসে বেড়াই প্রভাত পুষ্পের চারপাশে।
এখনও নীড়ে ফেরা সন্ধ্যাতে, তৃষ্ণার্ত দুপুরে
শিশির ভেজা সকালে, এমনি করে
দিন পেরিয়ে মাস ধরি, মাস পেরিয়ে বছর,
বছর পেরিয়ে যুগের পর যুগ,
কখনও বা আলোকবর্ষ নির্ঘুম চেয়ে থাকি অপলক
শূন্য দিগন্তের দিকে,
শুধু তোমারই আশায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কবিতা

২১ অক্টোবর, ২০২২
২১ অক্টোবর, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৯ আগস্ট, ২০২২
১৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন