শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
টিপু সুলতান
পায়চারি
জলের শরীরে শীতল জ্বর।
আদিগন্ত বিলের শেওলা ডগায় ওড়ে বালিহাঁস-
ঘনবন গাছের দেওয়াল বাঁধানো শামুক সারির মত
সংগীত ভাঙে বীজ ছিটানো মাঠ;
একটি বালক দুটি হাতে তালি ওড়ায়।
ঝরাপাতার শরীরে শিশির বিছানো চাদর
বুড়ো বৃক্ষবকুল মুড়ো রূপে সময়ের সাজঘরে-
পুকুর পাড়ে ধূসর বেজী মুখ উচায়
নববধুর উঠানে ঘরপোষা সন্ধ্যার পাখি তাথৈ নাচে
এভাবে প্রতিদিন আটকে যায় চোখ-
ভেসে যায় নিত্য ঘর,
ভেসে আসে সকল গোছানো পায়চারি!
এনাম রাজু
অপার্থিব ঘ্রাণ
বেহায়া রাতের জৌলুশে পিছলে যায় মৃত্যুর দূত
চাঁদের আলোয় উপচে উঠে যৌবনের ছায়াছবি
ভাবনার বিষয় নয় মানুষের জন্ম ইতিহাস
মনে হয় সময়ের নাটকে শুধু অস্কার প্রেম।
যদিও মিউ মিউ আদরে আজ গলে পড়ে প্রদর্শিত চাঁদ
মেট্রোরেলের মতো ঢুকে পড়ি নরম গুহায়
ঈর্ষালু প্রতিবেশী লেলিহান জিহ্বা বাড়ায়
আমিও আরেক আমন্ত্রণে হয়ে উঠি আরেক ফাল্গুন...
তারচেয়ে ভালো ছিলো বাঁধাহীন বায়বীয় প্রাণ
ধুলো-মাটি, মিশে যাবে; আসে তার অপার্থিব ঘ্রাণ।
সাইয়্যিদ মঞ্জু
বিশালতার উপমা
(শ্রদ্ধেয় রামহরি দাশ’কে নিবেদিত)
এক আকাশের উপমায় হবে কি যথার্থ
কোন পরিমাপের যন্ত্রে মাপি
হৃদয় বিশালতার পরিধি।
ন্যাড়া মৈনাকে রৌদ্রের আগুন
মন পুড়ে পুড়ে করে ছাই
সাগর ঢেউয়ের করাল গ্রাস পাহাড় লুটে খায়
বিরহী হৃদয় স্বপ্ন আঁকে সবুজ পৃথিবী।
আদরিনীর হাতের বালা কানের জোড়া দুল
ভালোবেসে পড়িয়ে দিলাম মৈনাকের গলায়
মহাশ্মশান, গয়াধাম, গঙ্গা-বিষ্ণু, ব্যাসকু-
কালযাত্রার সাক্ষী হয়ে রয়।
তোফায়েল হোসেন
স্বর্গ রাত
দিন চলে যায় কেবা ফিরে পায় আঁধারে হারায়ে রাতি
খুঁজে ফিরি তাকে ব্যস্ততা ফাঁকে চোখের তাঁরায় সাথী।
আনমনা মন ক্ষণ অনুক্ষণ ওঠোঁটে মধুর হাসি
চেখে দেখিনিত স্বাদ পরিমিত মধুপের সুধা রাশি।
প্রতি ক্ষণেক্ষণে ভাবি মনেমনে কার তরে হই খুন
ডেকে দেখো প্রিয় হারিয়েছি স্বীয় সীমারেখা আর কোণ।
এসো হাত ধরি চোখে চোখে পড়ি দুজনে হারাই বনে
বুনো উন্মাদে মেতে সুখ ফাঁদে চলো ভেসে যাই মনে।
কান পেতে থাকি ফিসফাস ডাকি চলে এসো মনহরা
রাতেরই কাছে জোনাকিরা যাচে নিষেধে ধরণী ভরা।
এসো ভাঙি সব প্রেম অনুভব সুখেরী খেলায় মাতি
তুমি আমি এক গাঁথি প্রেমাবেগ নামুক স্বর্গ রাতি।।
মজনু মিয়া
নির্জন দুপুরের কান্না
একটা পাতিহাস ভরা পুকুরের জলে
পাকপাক করছে সে নিদারুণ করুণ সুরে!
একদিন তার পাশে হাসিটাও ছিলো জোড়া,
আজ একাকী দুপুরে ভালো
লাগছে না।
সাথীটাকে হারা হয়েছে এই তো কদিন হলো গত,
তার কাছে এই পৃথিবী ভিষন্ন লাগছে, সে কেন বেঁচে আছে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।