শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
বিদেশী
কবিতা
হেসপীরাস্
জন ক্লেয়ার ১৭৯৩-১৮৬৪
অনুবাদকঃ ভবতোষ হালদার
(জন ক্লেয়ার, জন্ম ১৩ জুলাই ১৭৯৩. পিটারবার্গের কাছে হেল্পস্টোন, ইংল্যান্ড; মৃত্যু ২০ মে ১৮৬৪ নর্দান্টাম্পশায়ার, ইল্যান্ড। হেসপীরাসের পরিচয়ঃ গ্রীক মিথে সন্ধ্যা তারা- ভেনাসের নাম হেসপীরাস। সন্ধ্যা দেবীর জাতক। দেহের সাথে সংযুক্ত হেসপীরাস ও ফসফরাস সন্ধ্যা দেবীর দু’পুত্র।)
হেসপীরাস! হল গত দিনের কোলাহল,
পড়ল ঝরে নরম নিশির- শব্দ শিশির,
কত পুষ্পে ঝরেছে এখন শিশিরাশ্রু জল
বসে আছ স্বর্গে তুমি ভরা আকাশ-নীড়।
হেসপীরাস! আসছে নেমে সরব সন্ধ্যা,
মাধুর্য আর নম্রতাতেই রইল বুঝি ঘিরে,
শিশুর এ শ্বাস সুবাস ভরা যেন সুগন্ধা
দিবস-নিশির সন্ধি-নিবিড় সাগর তীরে।
হেসপীরাস! বিকেল নত মুদ্রিত ফুলদলে
শিশির-সিক্ত মৃত্তিকাতে নম্র ঘুমের লগণ
নিবিড় শিশির ঝরেছে তখন ভ‚বন তলে
স্বর্গ-শ্বাসের সমারোহ সুগন্ধতে মগ্ন গগন।
হেসপীরাস! মিটমিটে ঐ রূপোর আভায়
নীলাঙ্গনে দীপালিরা, মেলেছে আলোর হাট,
গল্প শোনায় রাত-পথিকে তারার মায়ায়
করবে ক্ষমা ধরিত্রীরে,’ভাসিত সন্ধ্যা বাট।
কবিতা
গুচ্ছ
আলম মাহবুব
সে নেই যদি
সে নেই যদি
মন ছুঁয়ে বৃষ্টি তুমি আর আসো কেন
নদীরে তুই ফিরে যা
বাগানের ফুল নিয়ে আমি করবো কি
বসন্ত তুমি দুয়ার খোলনা
এবার নাহয় কোকিলেরা নীরব থাকুক
কি আর হবে না বাজালে বাঁশি।
সে নেই যদি
কাঁটা হয়ে স্মৃতি কেন জেগে থাকো এই বুকে
পথরে তুই আর ডাকিস না
হৃদয়ের জানালা বন্ধ যে হলো
স্বপ্নের পৃথিবী আলেয়া ছাড়া কিছু নয়
মেঘের আড়ালে চাঁদ এক্ষুণি তুই চলে যা।
সে নেই যদি
হায় অভিমান তবু তুমি এতোযে মধুর
বেলকনিতে আর কেন দাঁড়িয়ে গভীর উদ্বেগে
পাথরের কাছে কবিতা লিখে লাভ কি এমন।
সে নেই যদি
শ্রাবণের মেঘে ভিজে মন তুই রাঙিসনারে।
মোহাম্মদ মাসুদ
সন্ন্যাসী-ধ্যান
শরীরী পাওনাকড়ির;
বিন্দুমাত্র হিসেব ছিল না।
ভালো থাকার;
নিত্য-অভিনয়প্রহসন
তোমার ভালোলাগা হয়ে উঠেছে।
রেখে যাওয়া তোমার
অনুভ‚তিশালায় আজও
সন্ন্যাসী-ধ্যানে পড়ে থাকি
নগণ্য সুখের ছাড়পত্রের জন্য।
হালিম নজরুল
ফিরে এসো পাতারা
নি:শ্বাসে বারুদের প্রকট গন্ধ মেখে
ভেসে যায় পাতারা ঈগলের বেশে,
বাসনায় রাখে স্বর্গ-সকাল।
ক্রমশঃ অদৃশ্য শিকারী ঈগল,
দৃষ্টি যেন তার স‚র্যের দেশে,
নখর প্রলুব্ধ সফল শিকারে।
চেয়ে দেখো ওই মরুময় নদীটির দিকে,
একদিন নীলাভ সমুদ্র ছিল ওখানে।
গোধ‚লি নামলে হলুদ হয়ে ওঠে সবুজ পাতারাও,
দিন ফুরালে অন্ধকারে বিলীন প্রজাপতি সুখ।
ফিরে এসো প্রিয়তমা,ফিরে এসো,
মেনে নাও তোমার জন্মস‚ত্র।
নেমে এসো পাতারা,নেমে এসো,
আবার মিশে যাও এই মৃত্তিকার গাঁয়ে।
এনামুল হক
উগ্র বাসনা
বাতাসের গায়ে বাতাসের ঘ্রাণ
এ যেন মধুচন্দ্রিমা!
হিমশীতল আবেশে টাইটানিক ছবির নায়ক নায়িকার মত এক টুকরো উষ্ণ চুম্বনে নিজেকে গরম করতে চায় জোড়া শালিক।
এরই মধ্যে এক পশলা শিলা বৃষ্টি!
হা- ভাতে কীট পতঙ্গরা গালে হাত দিয়ে ঝিমাচ্ছে!
ঐ দিকে গোলাপের কাঁটা উপেক্ষা করে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত ভ্রমর!
আকাশের যমদ‚ত যেন চেয়ে চেয়ে দেখছে সব!
প্রকৃতির এ লীলা খেলায় তার চোখে জ্বালা ধরেছে;
তাই খানিক বাদে আরেক পশলা বৃষ্টি!
পিঁপড়ের দল আকাশ পানে তাকিয়ে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে!
এরই মধ্য কলের গাড়ির যাঁতাকলে পিষ্ট পিঁপড়ে শ্রেনী।
ভুতলে কান্নার রোল।
শিলা বৃষ্টি টা আরেকবার ঝরে পড়ে,আড়াল করে দেয় শোকাহত কান্নার শব্দ!
আবার ঠোঁটে ঠোঁট,গভীর রাতে বুনো শেয়ালের হাক!
আর এভাবেই এগিয়ে চলে উগ্র বাসনা!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।