বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর গ্রামে স্ত্রী ও দু’ সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে স্বামী মাঈন উদ্দিন(২৭)। খবর পেয়ে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ঐ বাড়ি ঘিরে রেখেছে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে ১৬ ডিসেম্বর রোববার দিবাগত ভোর আনুমানিক ৪টায়।
ঘাতক মাঈন উদ্দিন নিজে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার আগে তার ৪ বছর বয়সী মেয়ে ফারজানা, ১১ মাস বছর বয়সী সিয়ম ছেলেকে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধে এবং স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে(২২) জোরপূর্বক বিষ খাইয়ে, বাড়ির পাশের ডোবায় পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। একইসাথে ডোবার পানিতে বাশেঁর সাথে বেধে রাখে। পারিবারিক কলহের কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘঁনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম উদ্দিন রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী।
ঘটনাস্থলে থাকা চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুন জানান, স্থানীয় দেবপুর গ্রামের হাফেজ তোহা সাহেবের বাড়ি মৃত মিয়াজান সর্দারের ছেলে মাঈন উদ্দিন চট্টগ্রামে একটি বেকারীতে কাজ করতো। কয়েকদিন আগে সে বাড়িতে আসে। দু’দিন আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তানদের জোরপূর্বক বাড়িতে আনে। নিহত ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ি পাশ্ববর্তী শাহমাহমুদ ইউনিয়নের করবন্দ গ্রামে।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভোররাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মাঈন উদ্দিন তার নিজ আইডি থেকে একটি ভিডিও আপলোড করে। ঐ ভিডিওতে দেখা যায় মাঈন উদ্দিন তার ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ির কবরস্থান পরিস্কার করছে। একই সাথে গান গাইছে ‘আমিতো মরে যাবো, রেখে যাবো সবই’। তাদের ৪ জনের মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়, তাদের লাশ যেনো পোস্টমর্টেম করা না হয়। এছাড়া তার বাবার কবরের পাশে যেনো তাদের দাফন করা হয়।
মাঈন উদ্দিনের প্রবাসী এক ভাই ভোররাতে ঐ ভিডিও দেখে তার বৃদ্ধা মাকে ফোন করে তাদের ঘরে যাবার কথা বলেন। তার মা দ্রুত গিয়ে দেখেন মাঈন উদ্দিন ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে। এ দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যান। পরে প্রতিবেশী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মামুন
স্থানীয়দের কয়েকজন জানান, মাঈন উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রীর পারিবারিক কলহ ছিলো। স্ত্রী ফাতেমাকে সে ছুরি দিয়ে কয়েকবার আঘাত করতে চেয়েছিল। এ কারনে এবার সে বাবার বাড়ি থেকে আসতে চায়নি। দু’দিন আগে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে আসে এবং নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।