বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নগরীতে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফের স্ত্রীর বড় ভাই তোফায়েল আহমেদ রফিক। ঘটনার পর বাসার ‘কাজের ছেলে’ পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নগরীর গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল জানান, গোসাইলডাঙ্গা এলাকার বারিক মিয়া স্কুলের পাশে ৬০ বছর বয়সী তোফায়েল আহমেদ রফিকের নিজস্ব বাসা। পেশায় ব্যবসায়ী রফিক ওই এলাকার বনেদি ব্যবসায়ী মরহুম হাজী বারিক মিয়ার ছেলে।
এডিসি আরেফিন জুয়েল বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাতের পর রফিকের মৃত্যু হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। সেসময় তাদের বাসায় কেউ ছিল না। এক ছেলে বাসায় ফেরার পর বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
ঘটনার পর বাসার ২২ বছর বয়সী ‘কাজের ছেলে’ পালিয়ে যাবার তথ্য দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কাজের ছেলের নাম-ঠিকানা কিছুই পরিবারের সদস্যরা জানেন না। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন আগে তাকে বাসায় কাজ দেওয়া হয়েছিল। বাসা থেকে মালামাল খোয়া গেছে কি-না সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।
স্বজনরা জানিয়েছেন, তোফায়েল আহমেদ রফিকের চার মেয়ে ও দুই ছেলে। তার স্ত্রী মারা গেছেন। চার মেয়েরও বিয়ে হয়ে গেছে। তবে দুই ছেলে এখনও অবিবাহিত। চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় রফিক একা থাকতেন। ছেলেরা থাকতেন ওপরের তলায়।
গতকাল সন্ধ্যার দিকে ছেলেরা দোতলায় বাবার কক্ষ বন্ধ দেখে দরজায় আঘাত করেন। বারবার ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে পেছনের সিঁড়ি দিয়ে উঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় কক্ষের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখতে পান। পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।রফিকের ভগ্নিপতি এম এ লতিফ চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।