শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
শাশ্বতি দত্ত রায়
মৃত্যুযাপন
অনেক অনেক রাত অব্ধি জেগে থাকি।
একটু একটু করে শুনশান চুপচাপ হয়ে
যাওয়া শীতরাতকে দুলিয়ে় দেয় দুর
থেকে ভেসে আসা কীর্তন সুর।
মধ্যরাতের বুক চিরে চলে যায়
মেইল ট্রেন দুর থেকে দুউরে।
মনখারাপ লাগে কেমন।
ঘুমপৃথিবীর গভীর শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ,
ঘড়ির কাঁটার টিকটক টিকটক----
পড়ার বইটি কোল থেকে রেখে
অসুস্থ পোষ্যটিকে বুকে জড়িয়ে় ধরি।
জীবনদায়ী ওষুধ ঠোঁটের কষ বেয়ে পড়ে --- ড্রপ ড্রপ ড্রপ
ধুকপুক জীবন লেপ্টে থাকে আমার কোলে।
অবশেষে মৃত্যুর দাবী কুয়াশা গড়িয়ে থাবা গাড়ে়।
হাতের আলগা মুঠো থেকে খসে যায় প্রাণ।
শীত এলে ভয় পাই। এই ভাঙা চাঁদ,
নীল আবছায়া চরাচর কতবার কষ্টকথার আল্পনা এঁকেছে!
কতবার হিমমাটিতে বুনেছি মৃত্যু!
কতবার শেষ শ্বাসের গন্ধ ধুয়েছি ফিনাইল পবিত্রতায়!
ক্লান্ত। রাতজাগা পঞ্চেন্দ্রিয় ইথার অবশ।
মালেক মল্লিক
ব্যবধান
এখন আমার বুকে খেলা করে গোধুলীর পৌঢ় শরীর।
তুমি নেই উদয়-অস্ত বয়ে চলি ক্রীতদাসের বোঝা।
নতজানু আমি আজ ধারণ করেছি রাংতার মতো প্রেম।
পাঁজরের হাড়ে ধরেছে জং- বৈকল্যে বিকল হয়েছে পৌরুষত্ব।
আমার আকাঙ্ক্ষা আজ তসবি গোণে ভেতর বাড়ি।
আমি ভালোবাসি বৃষ্টি আর তুমি জোছনার হাসি!
শরীর থেকে তুমি রক্ত-ঘাম করেছো উধাও,
যাতে বসন্ত সুখ বারো মাস পাও।
তোমার নদীতে আজ সাঁতার কাটে
অযুত আদম, অথচ আমি জলকসরত শিখিনি একদম।
আয়েশা আক্তার
আসব তোমার ঘরে
আমি বলেছিলাম অরণ্যের নীলিমা হয়ে,
আসবো তোমার ঘরে...
নীলিমার নীল পরশে রাঙ্গাবো ঘর জুড়ে,
তুমি কত দিন ধরে অপেক্ষায় আছো, এখনো বসে....
আমি বলেছিলাম উত্তাল সমুদ্রের মাতাল ঢেউ হয়ে,
আসবো তোমার ঘরে...
প্রেমের জোয়ারে ভাসাবো তোমায় কাছে এসে।
তুমি কত মাস ধরে অপেক্ষায় আছো, এখনো বসে...
আমি বলেছিলাম পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে,
আসবো তোমার ঘরে...
চাঁদের আলোতে দু’জন মিলে হাঁটবো এক সাথে।
তুমি কত রাত ধরে অপেক্ষার প্রহর গুনছো এখনো বসে...
আমি বলেছিলাম কোকিলের কুহু সুর হয়ে,
আসবো তোমার ঘরে...
সুরের মূর্ছনায় ভরিয়ে দেব তোমার চর্তুনীড়ে।
তুমি কত বছর ধরে অপেক্ষায় আছো, এখনো বসে...
আমি বলেছিলাম বাগানের হাসনেহেনা ফুল হয়ে,
আসবো তোমার ঘরে...
ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে দেব সারাক্ষণ তোমারই পাশে।
তুমি কত কাল ধরে প্রতিক্ষায় আছো, এখনো বসে...
আমি শুধু একবার আসবো বলে........
মজনু মিয়া
আর্তনাথ
আর পারছে না, নিশ্চিত পরাজয় কুলাংগার মনুষত্বহীন পাপী
কিছু মানুষ কে হাওয়া করে দিলো! স্বার্থবাদী হারাম খোড়
নিজের দেশকে ভালো না বেসে পরের জন্য;
ঘৃণা জনম জনম পাবি নেক্কারজনক কর্মের জন্য
শেষ করা যায় না,বাঙ্গালি জাতিকে ভায়া আটকাতে পারিস নাই
তবু বুঝলি না, জোর জুলুম কোনোদিন জয় এনে দিতে পারে না।
সাহস বীরত্বে বাঙ্গালি চিরকাল এগিয়ে তোরা বুদ্ধিজীবি মারলি
দেশ প্রেমিক মারলি নিরহ্ মানুষ মারলি লুট করলি মান
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে অবশেষে ইতিহাসের নিকৃষ্ট জীবে পরিনত হইলি।
রিতা ফারিয়া রিচি
গড়াই নদী
গড়াই নদীর সাথে আমার আছে মনের মিল,
জানে আকাশ, চাঁদ-তারকা শূন্যে ওড়া চিল।
আমার প্রানের গড়াই নদী ডেকে বলে রোজ-
বন্ধু তুমি কাছে এসে নেওনা আমার খোঁজ।
আমার নদীর বুকের ভেতর বাতাস খেলে ঢেউ,
মুগ্ধ হতে, রূপের ঝলক- দেখতে যদি কেউ।
আমার বাড়ি ঢেউ টলোমল গড়াই নদীর তীরে,
সে যে আমার প্রিয় নদী হাজার নদীর ভীড়ে৷
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।