শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মনিকুন্তলা গুপ্তা
মুহুর্তের স্বর্গ
ধমনীপথে রক্তের উন্মত্ত দৌড়
অনুভূত হয় না আর
শিরাগুলো এখন আসলে প্রবীণ -- পুঞ্জপুঞ্জ
চাওয়া আর আবেশী চাউনির বিরোধ লেগেই থাকে ফলে।
এখন প্রতœতাত্ত্বিকের বিষয়, চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে সহজ সমীকরণ।
মৃত শরৎ তার ভিজে
স্পন্দনের শরিকী দিয়ে যায় ধূসর হেমন্তকে।।
যাপনের কুরে কুরে খাওয়া নীলাভ বাস্প হয়ে হয়ে
বাতাসের সাথে মিশে মিশে যায়,
হেমন্তিকা যোগিনী!
সবটুকু উজাড় করে দিয়ে হৈমন্তীর শুন্য
প্রান্তরের হাহাকার তো ভরন্ত ঐশ্বর্যেরই!
অমানিশির অন্ধকারের প্রহরশেষে জ্যোৎস্নার
বিম্বিত আলোয় যেমন ধন্য রাতবেলা !
উচ্ছ্বসিত কথকতায় কলস্বিনী যাপনরাত
ভরে থাকে মাধুরীতে জোনাকীর আলোয়।
প্রশ্বাসে অনেকের স্মৃতিরা জাগরী হয় বীতরাগের
বীতশোকে --- আলেয়ার মত মরীচিকা ভ্রষ্টপন্থী
মরুদ্যানের মায়াজলে বিশ্বাসের বিম্বন আঁকে।
যে কবি মরুভূমিতেও ভালবাসা গড়ে নেয়
তখন সর্বস্ব খোয়ানো মনের ঘরে নেমে
আসে এক চিলতে স্বর্গ,
রামধনুর সাতরঙা বর্ণমালার বর্ণালী ছড়িয়ে।
বিকীর্ণ শব্দের রণন রম্যাণি ঐকতান তোলে
প্রবীণ শিরাপথ বেয়ে ধমণীর এক্কেবারে প্রান্তিক সীমায়।
মিজানুর রহমান তোতা
মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন
আমার মনের ভেতরে এতো প্রশ্ন কেন
ঘুরে ফিরে শুধু প্রশ্ন উকি দেয় শুধু প্রশ্ন
মানুষ কেন এমন হয়, কেউ উত্তর দেবে।
দুর থেকে অথবা কাছে কেউ কথা বললে
প্রশ্ন করি আমরা এতটা খারাপ হয়ে গেছি
মানুষ দেখলে ভুত, ভুত দেখলে মানুষ।
সবার একই কথা মানুষ স্বার্থের জন্য সত্য
মিথ্যার বেসাতি করতে কার্পন্য করে না
মিথ্যা আর মিথ্যা, দিনরাত সমানতালে।
লোভ দেখায় মুলা ঝুলায় কেন বারবার
সবাইকে একপাল্লায় রাখে স্বার্থবাদীরা
লজ্জার মাথা খেয়ে একই কথা বারবার
তাই তো এতো প্রশ্ন তবুও আসে না উত্তর।
মাহবুবা করিম
যদি জানতে চাও
যদি জানতে চাওথ কখনও
প্রেমে পড়েছি কি না?
আমি বলবোথ আমার
ধ্যান ধারণা বিশ্বাস শুধু তুমি
আমি চোখ বুঝলে তোমাকে দেখি
চোখ খুললেও তোমাকে দেখি
তুমিই আমার প্রথম ও শেষ প্রেম
তুমি আমার বাঁচার অন্তিম কারণ।
যদি জানতে চাওথ মৃত্যু চাই না জীবন?
আমি বলবো শ্বাশত প্রেম আমি
বলবো তুমি তুমি এবং তুমি
আমি তোমাকেই চাই।
খন্দকার জাহাঙ্গীর হুসাইন
এসেছিলাম অন্ধযুগে
কালের গর্তে আমিও ডুবে যাবো একদিন। নৈসঙ্গিক বেদনায় তড়পাতে থাকবে নাম। আমার সমস্ত শরীরে লেগে থাকা সব বিশেষণের বিশ্লেষণ আমি চাইনা। সে সবের আলোকপাত করবেনা কেও। এ আমার ঐকান্তিক অনুরোধ। আমি বলছিনা তারা হবো কিংবা ধুমকেতুর মতো সব চেয়ে চেয়ে দেখে বেড়াবো; ওপাড় থেকে। শুধু মনে রেখো, আমি এসেছিলাম অন্ধকারে। সেখানে ছিল শুধু নষ্টদের সময়! ছিল একটি ভুল মানুষের সভ্যতা। কষ্টাহত বুকে আমি ছিলাম একা আর আমিও নষ্ট সভ্যতার সারথীর নামে কাব্য করেছিলাম। একদিন আমি খিচুরী খেয়েছিলাম, পড়েছিলাম মৌলুদ শরীফ। দু’হাত তুলেছিলাম আর ক্ষমা প্রার্থনার নিমিত্তে পেশ করেছিলাম দালিলিক সমস্ত শব্দ সম্ভার। এরা অন্ধ ছিল। লোভাতুর অন্ধদের আঁধার গলিতে ঢুকে পড়ে ঠক্কর খেয়েছিল-আমার কপাল। মনো রেখো, আমিও কিছু ভুল করেছিলাম কিছু ভ্রান্ত মানুষের, ভুল মতবাদের সাদৃশ্যতার ভয়ংকর অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে নষ্ট হয়েছিলাম। নূরাণী আলোয় পূর্ণ হ্যারিকেন নিয়ে হাঁটলে কি অন্ধের কোন লাভ হয়?
নীল নন্দী
আমার কষ্ট
আমার কষ্ট গুলো নষ্ট করে উড়িয়েছি হাওয়ায়
স্বপ্নের ভেলায় ভাসবো বলে
কেটেছে হেলায় বেলা, তুমি আমার ভাবনায়
কেনো আনমনা? জমিয়ে রাখা ইচ্ছে তোমার
ব্যাক্ত করো আমায়। না বোঝালে কেমনে বলো
ভাসি তোমার ভেলায় আমার খেলা থমকে গেছে
চরম অবহেলায়।।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।