শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
অর্ণব আশিক
নিখোঁজ বাঘের মুখ
মধ্য রাত খান খান ঘুম ভাঙা স্বপ্ন দৌড়ে পালায়
শুধু হাহাকার ; শহরে গাঁয়ে
এ লাশ কার; বাঘের দাত ও নখের
খোদাই চিহ্ন লাশের উপর।
সবুজ জমিতে চিত্রিত একখন্ড লাল
ভোরের সূর্যের মত পরে আছে নিশ্চুপ
লাশ শুধু লাশ নয়, নয় শুধু মৃতদেহ বালকের
লাশ একটি দেহ, একটি স্বপ্ন
সবুজ ধান খেতে শুয়ে এ দেশ আমার।
জনারণ্যে কোন শব্দ নেই
অশ্রুর দহন বুকের এধার ওধার
শুধু আগুন দৃষ্টি ঝরে পড়ে জনে জনে
চাপা গর্জন অস্পষ্ট গোঁঙ্গানির মত ছড়ায়
কেঁপে উঠে সমাজের চৌকাঠ,
রাষ্ট্রের দরজা কপাট।
ধর্ষিতা অসহায় কুমারীর দৃষ্টির মত ফ্যালফ্যালে
এ্যালোমেলো ঝিমধরা অসহায় বোধ
শোনে নতুন শঙ্খধ্বনি, সিংহের গর্জন
কোন হালুম শব্দ নেই আজ
লাশের পাশে জনতার ভির
জনারণ্য নিখোঁজ এখন সেই বাঘটির মুখ।
হালিম নজরুল
সকাল আসছে
জন্তু জানোয়ারের যুদ্ধ দেখে দেখে ক্লান্ত আমি--
প্রস্থানোদ্যত পেছনের জঙ্গলে;
যেখানে প্রতীক্ষমান প্রস্তরযুগ।
হঠাৎ সম্মুখে একটি আলোর ফুলকি--
আবছা ভেসে উঠলো রাত্রির বুকে।
একটি সকাল হেঁটে আসছে আমার দিকে।
মাথায় জ্বলন্ত সূর্য-- আর--
সৌলাসে অভ্যর্থনা পুস্প হাতে
জোর কদমে হেঁটে আসছে--
একটি দিনের খবর দেবে বলে।
চৈত্রের মাঠে মাঠে মেঘেদের আনাগোনা।
আকাশের কপাটভাঙা শকুনের উচ্ছাসে--
কোন দৈব-দানব টেনে আনো কষ্টসুনামী!
ঐ চেয়ে দেখো,দূর দিগন্তে--
উদরে গিলে খাওয়া কষ্টের ভাঁজ--
আর অগণিত শস্যদানার অনুর্বর গল্প ভুলে--
আবার কতক সপুস্পক স্বপ্নের ফেরী হবে!
ঐ চেয়ে দ্যাখো---
একটি সকাল হেঁটে আসছে আমার দিকে।
রকি মাহমুদ
দু’প্রস্থ
ক.
স্বপ্নদগ্ধ জীবন আকন্ঠ তলানী
বিশস্ত নাবিক দিকহীন সমুদ্রে
মায়াবী রাতের অধরে চাঁদনীচুমু
কল্পনার শ্বেতপাথরের প্রাসাদ ভাঙ্গে
নিয়তির তীক্ষ্ণ শাবল।
খ.
বিদগ্ধ যৌবনের উপর স্বনির্মিত ব্রথেল
জীবনের বন্দরে জৈবিকতার নগ্ন দংশন
অবিশ্বাস্য এ পংক্তিমালা
বিস্ময়কর ভাবেই সত্য।
সুমন আমীন
লোভী পাখির প্রতি
বুকের ভেতর রক্ত ক্ষরণ ভাঙছে হৃদয় পুর
তোমার ঘাটে নাও ভিড়িয়ে খুরছি নিজের গোর
দিনের শেষে সন্ধা নামে আসছে কালো মেঘ
নদীর মতো বাঁচতে শেখো লোভটা করে ত্যাগ
ব্যর্থ আমি কেমন করে হই যে গৌরী সেন
হৃদয়টাকে হাট বাজারে করলে লেনদেন
অন্ধ গোরে একলা করে আসলে রেখে যেই
জোনাক পোকা কানে কানে বলল তুমি নেই।
তুমি এখন মুক্ত পাখি মেলতে পারো পাখ
এসব কথা বলব পরে ;আজকে না হয় থাক।
রহমান খলিল
উপহার
জানিনা, তোমাকে কতটা ভালবাসি
সুন্দরের অনুপস্থিতি আমায়- বড্ড কষ্ট দেয়
আমারর নিঃসঙ্গতার পারদ উঠানামা করে প্রতিনিয়ত
কোন অজানা আকর্ষন, মজনু বানায়-
যাদুর বিমুগ্ধ সপর্শে। তোমার রূপ সাগরে আনমনা হই,
প্রতিটি প্রহর। আমার ডান অলিন্দ
বাম অলিন্দে- আছো মিশে
এক সিন্ধু,এক পৃথিবী
অথবা জনম জনম ধরে
ভালবাসলেও তবুও কম ভালবাসা হবে
তোমার কষ্টে আমার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়
তোমার সীমাহীন দুঃখে কান্না পাই
বড্ড লক্ষী মেয়ে, তাইতো-
ভাল না বেসে থাকতে পারিনা!
তোমার জন্য উপহার এক সাগর এক আকাশ কেবল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।