বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জেলার সীমান্তবর্তী জনপদ কোম্পানীগঞ্জের পাড়ুয়া তিনতলা বিল্ডিং নামক এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এক পাথর ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত পাথর ব্যবসায়ী উপজেলার নয়াগাঙ্গের পাড় গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে শুক্কুর আলি(৩০)।
নিহতের পরিবার জানায়, শুক্কুর আলীকে বিভিন্ন সময় স্থানীয় বিতর্কিত আওয়ামীলীগ নেতা শামীম আহমদের লোকজন হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। নিহতের স্ত্রী পিয়ারা বেগম বাদি হয়ে গত ১৪ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রির আবেদন করেন। পুলিশ ১৫ নভেম্বর ডায়রিটি নথিভুক্ত করে (জিডি নং-৬২০)। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি নিহত পাথর ব্যবসায়ী শুকুর আলীর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পাথর ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শামীমের সঙ্গে বিরোধ ছিল তার। বুধবার সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে কোয়ারি এলাকায় মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন শুক্কুর। এসময় শামীমের ভাতিজা কেফায়েতের নেতৃত্বে জামাল, হবিব, শাওন, শুকুর, বুরহান,হুমায়ুন ও রাসেলসহ অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন শামিম বাহিনীর ক্যাডার দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শুকুর আলীকে আটকিয়ে অর্তকিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা শুকুর আলীকে এলোপাথারি ছুরিকাঘাত এবং বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে মৃত ভেবে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রউচিয়ে উল্লাস করে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শামীম বাহিনীর ক্যাডারদের হুমকিতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় ছিলেন শুক্কুর আলী। সেই আশঙ্কাই তার জন্য আজ কাল হলো। তার স্ত্রীও জিডির ব্যাপারে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, শুক্কুর পাথর ব্যবসা করতেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। মরদেহটি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।