বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবন বিশুর ভাড়া বাড়ির শয়ন ঘরেই ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র নাঈম ইসলামকে (২০) গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করতে ঘরের পাকা মেঝেও খোঁড়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কোনো কারণে পরে লাশ পাশের একটি মাঠে নিয়ে আগুন দিয়ে ঝলসে দেয়া হয়।
রোববার রাতে পুলিশ বিশুর শয়ন ঘর থেকে রক্তমাখা চাকু, নিহত নাঈমের জুতা, আইডি কার্ড, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করেছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন জানান, উপজেলার বাড়ইপাড়ার কান্টু মোল্লার ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবণ বিশু বাজার এলাকায় সন্তোষ খলিফার বাড়িতে ভাড়া থাকত। গোপনে খবর পেয়ে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তালা ভেঙে বিশুর শয়ন ঘর ও পাশের একটি ঘর থেকে নিহত ছাত্র নাঈম ইসলামের জুতা, মানিব্যাগ, কলেজ আইডি, গলা কাটার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি, দুটি রামদা, দুটি চাকু, রক্তাক্ত বালিশ, কম্বল, চাদর ও রক্ত মোছার কাপড় পাওয়া যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা নিশ্চিত বিশুর ঘরেই নাঈমকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ গুম করতে ঘরের পাকা মেঝে খোঁড়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে কোনো কারণে লাশ বাইরে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
শনিবার গ্রামের একটি মাঠ থেকে নাঈমের অ্যাপাচি বাইক ও রক্তমাথা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নাঈমের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।
এদিকে গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা অনন্ত শ্রাবণ বিশু, তার বন্ধু আতিকুর রহমান, সিহাব বাবু, মনিরুজ্জামান মনির ও অন্তর মিয়াকে রোববার আদালতে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
নিহত নাঈম গাবতলী উপজেলার মরিয়া গোলাবাড়ি গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে। সে বগুড়া শহরে বেসরকারি পলিটেকনিক বিট-এ ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
১৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। ১৬ নভেম্বর শুক্রবার সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্বপাশে তার গলাকাটা ও আগুনে ঝলসানো তার বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। রাতেই নিহতের মা নাজমা বেগম ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এর আগেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উল্লেখিত ৫ আসামিকে আটক করেছিল। পুলিশের ধারণা, পূর্ব কোনো বিরোধ বা নারীঘটিত কারণে ছাত্রলীগ নেতা বিশুর বাড়িতে নাঈমকে ডেকে এনে গলাকেটে হত্যা করা হয়। লাশের পরিচয় গোপন করতে আগুন দিয়ে লাশ ঝলসে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ জানায়, রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।