চলন্ত বাসে নারীকে হত্যা করে ফেলে দেয়ার ঘটনার একদিন পার না হতে এবার আশুলিয়ায় বসত বাড়িতে ডাকাতির সময় বাঁধা দেওয়ায় ডাকাতের গুলিতে আবুল হোসেন নামে বাড়ির গৃহকর্তা নিহত হয়েছে। আহত হয় মকবুল হোসেন নামে আরও এক ভাই। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা স্বর্ণাংকারসহ ওই ব্যবসায়ীর লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুকও লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভোর রাতে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকার সরকার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল হোসেন সরকার দূর্গাপুরের হালিম সরকারের ছেলে।
হামলার শিকার মকবুল হোসেন জানান, বারান্দার গ্রিল কেটে কয়েকজন ডাকাত ভিতরে ঢুকে। বাবাকে জিম্মি করে ফেলে। পরে বড় ভাই আবুল সরকারকে হামলা চালায়। এর আগে মোবাইল ফোনে প্রতিবেশী সবাইকে বাড়িতে ডাকাত হানা দিয়েছি জানাই। এসময় ডাকাতরা সবাই বের হয়ে যায়। ইতিমধ্যে সবাই আসতে শুরু করে। আমরা সবাই বের হয়ে দেখি, দুই ডাকাত বাউন্ডারীর পাশে অবস্থান করছে। এসময় বড় ভাই তাদের ধরতে গেলে একজন তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে।
নিহতের চাচাতো ভাই আমজাদ হোসেন জানান, ভোর রাতের দিকে ১০-১২ জনের ডাকাত দল বারান্দার গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে মোবাইল ফোনে আশেপাশের লোকজনকে জানায় ও মসজিদে মাইকিং করা হয়। সবাই ছুটে আসতে থাকে। এসময় বাড়ির গৃহকর্তা আবুল সরকার দুই ডাকাতকে ধরতে যায়। এ অবস্থায় ডাকাতরা আবুল সরকারের পেটে গুলি করে ও মাথায় কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পরে স্বর্ণাংকারসহ আবুল সরকারের বাবার লাইন্সেসকৃত বন্দুকটি লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মনিরুল হক ডাবলু জানান, ঘটনার পর আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিবারের দাবী ডাকাতরা হামলা চালিয়ে গুলি করে আবুল সরকারকে হত্যা করেছে। তবে পরিবারের দাবীর পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত বিরোধ বা পূর্ব শত্রুতার কোন ঘটনা আছে কিনা, সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে।