শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
গুচ্ছ
মালামিত্র
কবিতা দোনোমনোর
মনোরাজা আনবাড়ী যায় ,অবশ্য বলে যায় আক্চারি,
যত বলে দাহ বাড়ে তত, ও কিছুই বোঝে না তারই
কখন কেমন গতায়াৎ তার বর্ণনা দেয়, মতামত চায়,
বোঝে না নাচারি ।
মন নিয়েছিস্, সময় মতন, দিয়েওছিস্ তো নিজে,
কে যে আপন আর কেই বা পর তোর কিছুই বুঝি না যে,
ভ্রমর যখন ফুলে বসে, চোষে নিঃশেষে
সে ফুল ভাবে ভ্রমর আমার,
ভ্রমরের মনে কি আছে, একমাত্র জানে সে উত্তর।
প্রিয় যে ফুল এখন তোর, নিত্যদিন কি রবে ?
হয়তো রবে, না হয় হারাবে, নিয়তি আর কে জেনেছে কবে?
হারুন আল রাশিদ
কবি আল মাহমুদ হেঁটে যাচ্ছেন
কবি আল মাহমুদ হেঁটে যাচ্ছেন
সামনে বিশাল প্রান্তর
কবি হেঁটে যাচ্ছেন
লম্বা সবুজ ঘাসে পা ডুবিয়ে ডুবিয়ে
একটা পাখির সাথে দেখা হলো
পাখিটির চোখ নিঃসঙ্গতায় ভরা
কতগুলো যত্র তত্র ফুটে থাকা
ফুলের সাথে দেখা হলো
দুপুরের রৌদ্রে মোড়ানো
একটা বৃক্ষের সাথে দেখা হলো
সবার সাথে সাবলিল
হৃদয়ের আদান-প্রদান
কবি হেঁটে যাচ্ছেন ধীর গতিতে
¯্রষ্টার সবুজ গালিচায় পা রেখে রেখে
সামনে অথৈ সমুদ্রের দেখা মিললো
সমুদ্রে অবগাহন করলেন
অতপর উঠে আসলেন তীরে
চোখ তুলে তাকালেন
চোখের জ্যোতি ছড়িয়ে পড়ল আকাশে
আমি অভিভূত আমরা অভিভূত
অভিভূত কাব্যের সুরভি জগৎ!
সাহেদ বিপ্লব
কবিতা হারিয়ে যায়
আল মাহমুদের কবিতার মতো
মাঝে মাঝে আমার কবিতাও হারিয়ে যায়।
বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে
কৃষকের লাঙলের চাক চাক মাটিতে
হাজার শিশুদের কোলাহলে।
মেঘেদের মত ভেসে যাওয়া উন্মুক্ত শব্দাবলিতে
আমবনে কাতিকের কুয়াশায়
রুপসী বাংলার কোনো এক রমণীর ঠোঁটে।
মিশকাত উজ্জ্বল
বিষন্নতা
কষ্টগুলো মমি করে যতেœ রাখি ফ্রেমে—
প্রথম প্রেমিকার দেয়া গোলাপের অনুভূতিতে।
প্রখর দুপুরে কোকাকোলা কোম্পানির একগ্লাস কর্পূর,
চায়ের দোকানে ব্যঞ্জনকৃত দুধটুকু সর
আর খাওয়াই হাওয়াই বেনসন ফ্রিতে
বিহঙ্গ উষ্ণীষে বিঁধে দিই বিপণন-এটলাসের পালক
মাঝে মাঝে ফুঁ মেরে উড়াই কতক বিষণ্নতা।
টিপু সুলতান
বাবার আঙ্গুল
এই তো সেদিন বড় হলাম
বাবার আঙ্গুল ছোঁয়ার গন্ধ
পত্রপ্রেরণার শতাব্দীকাল
ধুলো খেলা ছাউনি পেরুনো প্রণালির বাঁকে
এখনো বটগাছের মত
অভয় ভরসার ছায়া এসে দাঁড়ায়।
চোখে ভাসে উর্বরমস্তিষ্ক,বাংলাময় বাবার সংকলন
মহৎ হাতে অনুপ্রেরণার রংতুলি,মানুষ হবার শ্রেষ্ঠ রংঃ
উত্তাপ যুগান্তরে এঁকে দেয়-সবুজ বনভূমি।
ছাতিমগাছের তল পুতে রাখে ক্লান্তজোঁক-
চৈত্রের কাকডাল;আমাকে গোলপাতার হাটে ঘোরায়
স্বর্গের শেকল কাটা বাতাসের কাঁধবদলানো নিঃশ্বাস
আঙ্গুলের কড়ি গোনা দিন, বৃদ্ধ ছাপিয়ে তারুণ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।