শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ফেরা
দেখো ওরা ফেরে, আহ, দেখো ওদের পায়ে সম্ভাব্য
আন্দোলন; তবে মন্থর পা
সমস্যাটা গতি, এবং তাই অনিশ্চিত
চলাচল।
দেখো ওরা ফেরে, এক পা, দু›পা করে
ভয়-প্রবণ, অর্ধ-অচেতন
যেন দ্বিধান্বিত তুষারপাত
এবং বাতাশের শনশন আওয়াজ
থেমে থেমে যায়...
কিন্তু এর সবই দৃঢ় এবং অলঙ্ঘনীয়
বাতাশের ডানার ভেতর ঈশ্বরের পা
এবং সিলভার হাউন্ডস কুকুরেরা শোঁখে বাতাশের পথচিহ্নরেখা...
এই...ই...এই...ই...
এ-সবই যে ক্ষিপ্রতার জোরালো আঘাতমাত্র
এ-সবই সুতীব্র আগ্রহ
এ-সবই পারম্পর্যের আত্মা
ধীর-প্রবণ শেকলে বাঁধা,
আহত বন্দী-মানুষ।
১. বালিকা
বৃক্ষেরা আমার হস্তযুগলের ভেতর প্রবেশ করে
বৃক্ষরস প্রবাহিত হয়
বাহুযুগলের অভ্যন্তরে
আমার স্তনের মধ্যে বেড়ে ওঠে গাছ
নিম্নগামী
আমার গহীন থেকে উঠে আসে বৃক্ষশাখাবৃন্দ,
আমারই বাহু
তুমিই তো বৃক্ষ
তুমিই জড়িয়ে থাকা সবুজ শ্যাওলা
বাতাশে দোলে বেগুনি ফুল তোমার চূড়োয়, সেও তুমি
শিশু, খুব উঁচুতে, তুমিই...
এবং এ-সকলই নিরর্থ মুকুট, এই পৃথিবীর।
২. ছবি
মৃতার চোখেরা কথা বলে এখন আমার সঙ্গে
প্রেম ছিল এখানে, মৃত্যুর জন্যে নয়
এখানে প্রত্যাশা ছিল, মিইয়ে যাবার জন্যে নয়
মৃতা রমনীর চোখ কথা বলে,
এখনো আমার সাথে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।