বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আসন্ন দুর্গা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে নগরীর কাট্রলীতে খুন হন যুবক বিশ্বজিৎ ধর বিশু (২৮)। হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার প্রধান আসামি শিমুল ধর বাবুর (৩০) জবানবন্দির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম। গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে তিনি নগরীর পাহাড়তলী থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিশু খুনের রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, গ্রেফতার বাবু খুনের দায় স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও তার রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার বাবু স্বীকার করেছে পূজা কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে সেই একাই কুপিয়ে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা শিববাড়ি মোড়ে রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা বিশ্বজিৎ ধর বিশুকে। বিশু পাহাড়তলী থানা পূজা উদযাপন পরিষদের অর্থ সম্পাদক। তিনি পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী বণিকপাড়ার মিলন ধরের ছেলে। রাতেই এই খুনের ঘটনায় জড়িত শিমুল ধর বাবুকে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাবু জানায়, পাহাড়তলী থানা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচন নিয়ে বিরোধ ছিল। আগের কমিটির সদস্য ছিলেন বাবু। কিন্তু নতুন কমিটিতে তাকে বাদ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিশুকে নতুন কমিটিতে অর্থ সম্পাদক করা হয়। এ নিয়ে বিশুর উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে হত্যা করার কথাও স্বীকার করে সে। পাহাড়তলী থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বাবু বিশুর প্রতিবেশি এবং পেশায় জুয়েলারির কারিগর। সেই ওই এলাকার মৃত গোপাল কৃষ্ণ দাসের পুত্র। তাদের বাসা দক্ষিণ কাট্রলি বণিক পাড়ায়। পূজা কমিটি থেকে বাদ পড়ায় সে বিশুর উপর ক্ষুদ্ধ হয়। আর প্রতিশোধ নিতে তাকে খুন করার কথা স্বীকার করে। তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হবে জানান তিনি। বাবুকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।