শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
সুমন আমীন
গুপ্ত যুগে ভালোবাসা
ওই বুকে বাসা বাঁধে বল্লার চাক
মধুর ফোয়ারা তবু পিপাসার্ত মন
জীবন যাতনা সব দূরে সরে যাক
বর্ষায় গহীন গাঙে চৈত্রের দহন।
ওই চোখে ঘুম যায় মহেন্জোদারো
ওই চুলে খেলা করে শিলালীপি ভুল
অলস হৃদয়ে প্রেমের চাবুক মারো
হালাকু ঘোড়ার খুড়ে কাঁপে দুল দুল।
লৌহিত্য স্রোতের টানে ইতিহাস ঘুরে
ঈশা খাঁর তলোয়ার স্বাধীন নিশান
বেহায়া বাতাস বলো কেন যাবে দূরে
স্বপ্ন চাষ করে গুপ্ত যুগের কিষাণ।
হয়ে যাও কলবের প্রেমিক মৌমাছি
গুপ্ত যুগে ভালোবাসা খুঁড়ে খুঁড়ে বাঁচি।
তাজ ইসলাম
ইচ্ছারা
নাবালক মন সাবালক হতেই
মিশে যেতে চায় বাতাসে
উদগ্রীব থাকে ছুঁইবে কখন
বৃক্ষের কচি পাতা সে।
উত্তরে যাবে দক্ষিনে যাবে
পশ্চিমে আর পুর্বে
ভাবে তার দিন এভাবেই যাবে
বাউল বাতাসে ঘুরবে।
নাবালক মন সাবালক হতেই
হাওয়ায় চায় সে উড়তে
যুবতি রোদের উত্তাপে তার
ইচ্ছারা চায় পুড়তে।
তারপর তারে সংসার বেড়ি
পড়ানো হল পায়েতে
এখন কদম সাবধানে ফেলে
ডাইনে কিংবা বায়েতে।
তোফায়েল হোসেন
একবার কইয়্যা দ্যাখ্
ঘুম কাইড়া নিলি ক্যান্? কীইবা আছে তোর কাছে?
ড্যাবড্যাব কইরা চাইয়া থাইক্যা কী দ্যাখছ্ ?
মরাগাঙ, অতি উচ্চতাপে ভূঁঁই ফাইট্টা চৌচির।
কাছে আয় দু’জনে খাঁখাঁ মরু ভূমিতে বৃষ্টি নামাই,
গঙ্গা পদ্মায় প্রবল বান নামায়ে দেই। তুই চাইলে
হিমালয় কাঞ্চনজঙ্ঘা পাড়ি দিমু খালি পায়ে।
সাহারা মরু ভুমিতে বাগান বানায়ে দিমু,
সুর্যস্নানের জন্য আগুনের কুন্ডলী আইন্যা দিমু,
ঝলসানো চান্দও আইন্যা দিবার পারি তোর হাতে।
তুই কইলে এক ঝাঁপটায় সুমান কইরা দিমু কালা পাহাড়,
মুখোমুখি বইসা তোর খাওন দেখার খুবই ইচ্ছে,
বুকের মধ্যিখানে শীতলপাটি বিছায়ে রাখছি সেই কবে!
ইচ্ছা হয় তোর বুকে লাঙলের ফলা চালায়ে
উলটপালট কইরা একটা কিছু আবাদ করি।
ফসল ফলাই, নিরব চাষী হয়ে।
ও পোড়ামুখি- শুধু একবার কইয়্যা দ্যাখ্
কইয়্যা দ্যাখ্না তুই।।
আলী এরশাদ
আঁধার
হঠাৎ বিকট শব্দে সিরিয়ায় -এলোমেলো ছুটছে মানুষ;
বৃদ্ধের দাঁতের মতো কেঁপে উঠে সব।
চেয়ে দেখি মুর্ছা গেলো পরিচিত একটি শালিক,
পাতার আড়াল থেকে উড়ে গেলো পাখিদের ঝাঁক,
মুরগীরছানাগুলো পালকের নিচে এসে ঢুকে গেলো
গরুগুলো রশি ছিঁড়ে ছুটে এলো বাড়ি।
আকাশে উড়ছে পাখি সুর তাল ছন্দহারা
ওরা আজ ভুলে গেছে গান, চারিদিকে বুকফাটা আর্তনাদ।
আমার ঘরের কোণে বেদনার গান গায়
বাসা বেধে থাকা চড়ুই যুগল।
পৃথিবীতে যে আঁধার ডেকে নিয়ে এলো পিশাচমানব,
সে আঁধারে খুশি নয় আঁধারের সাথী হুতোমপেঁচা কিংবা বাদুর।
বেলাল আহমেদ
অবিরাম বৃষ্টি মিছিল
পোয়াতি অশ্রুবানে ভিজে ওঠে মায়াবতী
বাস্তুভিটা, ইদানিং সম্পর্ক শাস্ত্র মগ্ন কংক্রিট গানে ঢালে শ্মশানের উলঙ্গ চিতা-বিপন্ন সভ্যতা
অসভ্যতার আঁধারে অদৃশ্য.....
বিমূর্ত বিবেক কেবলামুখি সেজদায় খোঁজে দ্রোহের বিনাশ অথচ আপাদমস্তক হলি উল্লাসে মাতে বিচিত্র রঙের পাপ! ওফ্ কী নির্মম প্রার্থণার পূর্ণদৈর্ঘ্য রির্হাসেল......
শরনার্থী শিশুর চোখে অবিরাম বৃষ্টি মিছিল!গড়ায় কর্দমাক্ত বর্ষার করতলে..... হিঙ্গুলে লেপ্টে থাকে সম্ভ্রম হারা মায়ের অসহায়ত্ব, মানবতাহীন তসবিহ্ জপে অর্থব উদারতা.... কী র্নিলজ্জ এই মানুষি পোষাক ?
ওয়াক্তে ওয়াক্তে সরব হয় চাকচিক্যময় শান্তি চর্চার সমূহ কোচিং সেন্টার।
সাহিদা সাম্য লীনা
অপেক্ষায় কাঁদে মন
তোমার একটা মেয়ের অভাব, বুঝতে পারি আমি।
তোমার একটা সহোদরার অভাব, তাও বুঝি
তোমার একটা সহোদর নেই। তাও জানি
পারনা মনের আকুল বিকুল প্রকাশ করতে!
বন্ধুর মতো পিতাও পাড়ি দিলো না ফেরা ভূবনে
তবে তোমার একটা মা আছে, আছে একটা বৌ
মাকে মায়ের জায়গায় আর বৌকে বৌ
এর জায়গায় দেখে উপলব্ধি করো
নারীর ভূবন কোন মোহে হাঁটে! বুজলেনা সাম্যর অজানা ব্যথা!
তবু আছি আমার মতো করে
যেদিন চলে গেলে মিস করছি সব জেনে
এটা তো জানলেনা,
আমি কেবল চাই তোমার জীবনের গল্প শোনার
চাইনি কোন সম্পর্কের অধিকার
একটু মায়ায় অপেক্ষায় কাঁদে মন
এ কূলে ভিড়াবে না জানি তরী, তবুও ...।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।