শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
দ্বীপ সরকার
নিওরের চশমা
দীর্ঘ বিরতির পর কুয়াশারা আজ নেমে এসেছে
বোতলভর্তি কিছু সওদা নিয়ে
বোতল খুলে দেখলাম --
যোজন দূরের ঝাপসা
শাদা মখমল পিরান
মেঘের আতসি চশমা
ধানচাতালের কারফিউ
অতঃপর বোতলবায়ু কালের আবর্তে
দিকবিদিক বিলীন হয়ে গেলো
এক ভোরে আমাদের করতোয়ার ধারে এসে দেখি
সেই ঝাপসা
সেই পিরান
মেঘপিয়নের চোখে দলা দলা নিওরের চশমা
একটু দূরেই তোতা মিয়ার ধানচাতালে চলছে
অনির্দিষ্ট কালের কারফিউ--
কামরু আলম কিরণ
পদ-চারী সেতু
রাজধানীতে মোড়ে মোড়ে পদ-চারী সেতু,
উঠছে নাতো কেউ ওটাতে যায়নি জানা হেতু।
ঝুঁকি নিয়ে হচ্ছে সবাই রাস্তা পারাপার,
আটকাবে এ আদমগুলো সাধ্য বলো কার।
বাংলা মটর সোনারগাঁও আর ব্যস্ত ফার্মগেট,
নিচ্ছে ঝুঁকি হাজার আদম করছে না কেউ লেট।
থামাচ্ছে কেউ হাত ইশারায় রানিং মটরযান,
কী ভয়ংকর দেখতে আহা! এই বুঝি যায় জান।
মানছে না কেউ মিড- আইল্যান্ডের দেয়াল, কাঁটা তার,
ইচ্ছে সবার করবে এবার দেশটাকে উদ্ধার
এরশাদ জাহান
স্ব-দেখা স্বর্গ
ভালোবাসার অবজ্ঞা শিখিনি যে তাই--
প্রভু! তোমার সকল স্বর্গীয় উদ্যান,
সত্তুরটা সুন্দরী হুর, হাউজে কাওছার
নির্দ্বিধায় বলে যাই কিছুই চাই না
এর। এবং বাহারী ফুল ; ম-ম ঘ্রাণ...
তাও প্রত্যাখান করি। শুধু বলি শুনো
মৃত্যুর ওপারে যদি জীবন থেকেই
থাকে সে জীবনে যেন আমার চারপাশে
আদিগন্ত সুসবুজ ফসলের মাঠ
থাকে। হাত ও পা ছুঁড়ে ছুঁড়ে পৃথিবীর
শীর্ণ নদীগুলো তুলে কল কল ছন্দ....
যেহেতু, আমার দেহের প্রতিটি শিরা
ও উপশিরায় মিশে আছে বাংলাদেশ
নামক স্ব-দেখা স্বর্গ, নৈসর্গিক প্রেম।।
এস এম রাকিব
কাশফুল মন
শুভ্র শরৎ, কাশফুল মন
থোকা থোকা মেঘের পরশ।
শ্রাবণ সুখে উষ্ণ ভেজা ঠোট
নিঃশব্দ হাঙর চোরাবালি
স্বপ্নময় তপ্ত উঠোন।
অশরীরি শিল্পীর তুলির আঁচড়
শিল্পীত নীলাম্বর।
কাটা ছেড়া প্রেম, উদ্বাস্তু কষ্টের পাহাড়
উদাস দুপুর- সজোরে আছড়ে পড়া
এন্ড্রয়েড মন, তবু -
চলনা হারাই-দুর নীলিমায়
খুজে ফিরি মুঠো মুঠো পড়ন্ত বিকেল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।