Inqilab Logo

শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

টেড হিউজের ৩টি কবিতা

কাজী জহিরুল ইসলাম অনূদিত | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

কাফকা

এবং তিনি একজন পেঁচা
তিনি একজন পেঁচা, মানুষগ্ধ তার বগলে আকা উল্কি
ভাঙা ডানার নিচে,
(অর্ধচৈতন্যে দেয়ালের পাশে, ক্রুদ্ধ, এখানেই সে পতিত হয়)
ভগ্ন ডানার বিশাল ছায়ার নিচে, যা কেঁপে উঠছিল ভূতলে।
তিনি একজন মানুষ, আশাহত পাখনার।

পেঁচার গান
সে গাইলো
কীভাবে রাজহংস চিরকালের শুভ্র
কীভাবে নেকড়ে ছুঁড়ে দিলো বিশ্বাসঘাতক হৃদয়
এবং তারকারাজী বিসর্জন দিলো ঔজ্জ্বল্য
বাতাস তার অবয়ব হারালো
জলেরা স্বেচ্ছায় অবশ
দাম্ভিক পর্বতও ছেড়ে দিলো সর্বশেষ প্রত্যাশা
এবং জমাট শীত মরে গেলো কেউ জানার আগেই।
সে গাইলো
কারোর কিছুই নেই আর তারা হারাতে পারেন
অতঃপর বসলো। তবুও সন্ত্রস্ত্র
তারাদের নখের চিহ্ন দেখে
প্রস্তরখন্ডের ডানার আওয়াজ শুনে
এবং তার নিজের গানেও।

শৃগাল-চিন্তা
মধ্যরাতে বুনো নির্জনতার কথা ভাবিঃ
কেউ একজন জেগে আছে
ঘড়ির নিঃসঙ্গতার পাশে
এবং এই শূন্য পৃষ্ঠা, যেখানে হাঁটছে আমার আঙুল।
জানালায় একটিও তারা নেইঃ
কিছু একটা খুব নিকটবর্তী যদিও,
অন্ধকারের গভীরে খুব
দ্রুত প্রবেশ করছে একাকীত্ব।
শীতল, রাজসিক নেমে আসা ঘন তুষারের মতো
একটি শেয়াল নাক ঘষে শেকড়ে, পাতায়;
চোখ দুটি নড়ে ওঠে উজ্জ্বল, সেই এখন,
এবং পুনরায় এখন, এবং এখন, এবং এখন।
তুষার প্রান্তরে সে সুস্পষ্ট পদছাপ আঁকে
বৃক্ষদের মাঝখানে, এবং খুব সাবধানে।
ছায়ারা কান্ডের আড়ালে বা কোনো গিরিখাদে,
পেছনে, পড়ে আছে ওর ক্ষিপ্র অবয়বের।
শুভ্র তুষার-দিগন্তের ওপারে একটি দৃষ্টি,
বিস্তৃত অরণ্যগহন সবুজের ভেতর থেকে,
আসছে ওর নিজস্ব নিয়মে।
ততক্ষণে, হঠাৎ নাকে লাগা শৃগালের উৎকট
উষ্ণ গন্ধ অন্ধকার গর্তের ভেতর ঢুকে পড়ে।
তখনো জ্বলেনি কোনো তারা জানালায়;
ঘড়ি ছুটে চলে টিকটিক, টিকটিক, শূন্য পৃষ্ঠায় মুদ্রিত অক্ষরেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কবিতা

২১ অক্টোবর, ২০২২
২১ অক্টোবর, ২০২২
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
১৯ আগস্ট, ২০২২
১৯ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন