Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপকর্মই তাদের কাজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৫৪ এএম

সাভারে তরুণীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কলেজছাত্র খুন হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা সর্বদাই অপকর্মে লিপ্ত থাকতো। এরা কখনও ছাত্রলীগ, কখনও তরুণ লীগ আবার কখনও যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাতো। চাঁদা আদায়, মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় ছিল এদের ম‚ল কাজ।
জানা যায়, এই গ্রুপের সদস্যদের সবার বয়স ২০ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে হলেও এদের মধ্যে অধিকাংশই লেখাপড়ার সঙ্গে জড়িত নয়। এদের স্থানীয়ভাবে মঞ্জু গ্রুপ বলেও ডাকা হয়। সাভার পৌর এলাকার তালবাগ এলাকার রমিজ উদ্দিনের ছেলে মঞ্জু। স্কুলের গন্ডি পেরুতে না পারলেও নিজেকে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে দাবি করতো। এলাকায় বখাটে ও উচ্ছৃঙ্খল হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত সে। ২০১০ সালে ছাত্রলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল মঞ্জু। এরপর থেকেই নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়া মুস্তাকিন, টিয়াবাড়ি এলাকার রহিজ, গেন্ডা এলাকার প্লাবন, শ্যামল, শামিম, ইমরান, মমিনসহ প্রায় ১০-১৫ জনকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে সে। টেন্ডারবাজিতে সহযোগিতা, কাঁচাবাজার থেকে চাঁদা আদায়, মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায়সহ এলাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেই সময় কাটাতো এরা।
এলাকার কয়েকজন জানান, মঞ্জু এলাকায় উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করে। গেন্ডা কাঁচাবাজার এলাকার বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা আদায় করত। এছাড়াও এলাকার বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক ও নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন অজুহাতে জিম্মি করে টাকা আদায় করে সে। বিভিন্ন দোকানপাট থেকে অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা আদায় করতো। টাকা দিতে না চাইলে মারধরের ভয় দেখাতো এই গ্রুপের বখাটে ছেলেরা। তারা এলাকায় ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের উলাইল গরুর হাটের সামনে দিয়ে ২১ আগস্ট রাতে তরুণী হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় বখাটে মঞ্জু, শ্যামল ও প্লাবনসহ বেশ কয়েকজন ওই তরুণীকে উত্ত্যক্ত করে। পরে ওই তরুণীর সহপাঠী মারুফ এ ঘটনার প্রতিবাদ করে। কিছুক্ষণ পরই মারুফ রাজাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে বখাটেরা তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মারুফকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই নিহতের ভাই লুৎফর রহমান খান বাদী হয়ে শ্যামল, মঞ্জু, প্লাবন, রহিজ, শামীম, ইমরান ও মমিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত তিনজনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় আসাদুল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ